ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনায় জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত এক ॥ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

নেত্রকোনায় জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত এক ॥ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদাতা, নেত্রকোনা, ১২ ডিসেম্বর ॥ খালিয়াজুরি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের বিষহরি জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম আলতু চৌধুরী (৬২)। তিনি বানুয়ারী গ্রামের আব্দুল আহাদ চৌধুরীর পুত্র। জানা গেছে, বিষহরি জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে বানুয়ারি গ্রামের নবাব চৌধুরী ও জিয়াখরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। নবাব চৌধুরী জলমহালটি তার ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে দাবি করে আসছিলেন। অন্যদিকে জিয়াখরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা নিয়ে খাস কালেকশন করে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নবাব চৌধুরীর ভাই আলতু চৌধুরী প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়া জয়নাল মিয়া, গোলাপ চৌধুরী, রহিমা ও সুফিয়াসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চবিতে আবারও সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের একটি অংশ। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন গ্রুপের দুটি অংশ এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বিপরীত গ্রুপের হাতে মারধরের শিকার হয় ফারুক নামের একজন ছাত্রলীগ কর্মী। আহত ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কলার ঝুপড়ি এলাকায় বিজয় মিছিলের প্রস্তুতিকালে সুজনের অনুসারী দুটি পক্ষের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে এক পক্ষের কর্মী ওমর ফারুক আহত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া হয়। নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অন্ত-কোন্দলের জের ধরেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা যায়। মারধরের কারণ জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, আমরা বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় অপর পক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে।
×