ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

নাটোরে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১২ ডিসেম্বর ॥ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে ওই মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটককৃত আতাউর রহমান রাজশাহী বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই শিক্ষক প্রায় তিন বছর যাবত মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছে। এর আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুইটি ছেলেকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সে সময় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। পরবর্তীতে নতুন করে আবারও শিক্ষার্থীদের বলাৎকারের হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়ায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছয় শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ এনে আশরাফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাজশাহীতে বিক্ষোভ স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, নগরীতে শিশু ছাত্রকে বলাৎকারকারী মাদ্রাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার মাহমুদ ওরফে জিহাদী এবার খোদ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার মাহমুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে এলাবকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে মাদ্রাসায় পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় অবস্থিত জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষকরা জানান, অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার মাহমুদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার একাধিক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি থানায় মামলাও হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে কয়েকদিন হাজত খেটে জামিনে বেরিয়ে এসে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় মঙ্গলবার ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় আসলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এলাকাবাসীও। পরে ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ জিহাদী মাদ্রাসার বিভিন্ন অনুদানের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছে। শুধু তাই নয়, মাদ্রসার নামে জমি কিনতে গিয়েও নিজের নামে করে নিয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে।
×