ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় একই পরিবারে একের পর এক খুন ॥ রহস্য ঘনীভূত

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

গলাচিপায় একই পরিবারে একের পর এক খুন ॥ রহস্য ঘনীভূত

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছৈলাবুনিয়া গ্রামে একই পরিবারের ট্রিপল মার্ডারের রহস্য দীর্ঘ সাড়ে চার মাসেও উদঘাটন হয়নি। উপরন্তু পরিবারের আরেক সদস্য ট্রিপল মার্ডারের পর থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছে। ফলে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। এর আগেও এ পরিবারেরই আরেক সদস্য সবার চোখের সামনে খুন হয়। সে ঘটনাও অনুদঘাটিত রয়েছে। একই পরিবারে একের পর এক এভাবে নৃশংস খুন ও নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা যেমন আতঙ্কে রয়েছেন। আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনাটি ঘটেছে এ বছরের ১ আগস্ট রাতে। ওই রাতে কৃষক দেলোয়ার মোল্লা (৬৫), তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৫৫) ও তাদের পালিত মেয়ে কাজলী বেগম (১৫) খুন হয়। অজ্ঞাত খুনীরা তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস পন্থায় কুপিয়ে শরীর ছিন্নভিন্ন করে। কাজলী বেগমের মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনার ৬ মাস আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দিনের বেলা পরিবারের সবার চোখের সামনে নিহত দেলোয়ার মোল্লার বড় ভাই ইদ্রিছ মোল্লার (৭০) এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে শফি মোল্লা ওরফে মাহিনকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে পিটিয়ে খুন করে। এদিকে ট্রিপল মার্ডারের পর থেকেই ইদ্রিছ মোল্লার বড় ছেলে শহীদ মোল্লার (৪০) খোঁজ মিলছে না। দুটি খুনের ঘটনাতেই থানায় পৃথক মামলা হয়। এর মধ্যে শফি হত্যা মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি তদন্ত করছে। ট্রিপল মার্ডারের তদন্ত করছে গলাচিপা পুলিশ। কিন্তু এ যাবত কোন ঘটনারই রহস্যের কিনারা হয়নি। ফলে আতঙ্কে আছে ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকার লোকজন। উভয় মামলার বাদী নিহত শফি মোল্লার বাবা ইদ্রিছ মোল্লা অভিযোগ করেন, এসব খুনের ঘটনার কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। আসামিরা তাকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুরে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও তিনি নিরাপত্তা বোধ করছেন না। অপর একমাত্র ছেলে শহিদ মোল্লাও খুন হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ট্রিপল মার্ডারের তিনজনেরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় পৌঁছেছে। তবে কাজলী বেগমের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সে রিপোর্ট এখনও আসেনি।
×