ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বোরো বীজে প্রতারণা ॥ রাস্তায় কৃষক

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

রাজশাহীতে বোরো বীজে প্রতারণা ॥ রাস্তায় কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় এবার ‘সাজ্জাদ-হাসান সীডে’র নিম্নমানের বোরো বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন কৃষক। চলতি মৌসুমে বীজতলা তৈরি করেও বীজ গজায়নি। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে এক সপ্তহের বেশি সময় ধরে কৃষকেরা সাজ্জাদ-হাসান সীডের স্থানীয় ডিলারদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন ফল পাননি। এর প্রতিবাদে খালি ব্যাগ হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন কৃষক। মঙ্গলবার সকালে জেলার তানোর উপজেলার মু-ুমালা এলাকার কৃষকরা স্থানীয় বীজ ডিলারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন। কৃষকরা সাজ্জাদ-হাসান সীডের খালি ব্যাগ হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে বলা হয়, নকল বীজ কিনে এবার তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার শত শত কৃষক প্রতারিত হয়েছে। প্রতারিত কৃষকেরা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও বীজ ডিলারদের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না। এলাকার অনেক কৃষক বীজ না হওয়াই বোরো আবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। ক্ষতিগস্ত কৃষকরা জানান, বাজার থেকে ১০ কেজি ওজনের ব্যাগ ৬০০ টাকা করে সাজ্জাদ ও হাসান সীডের বীজ কিনে বীজ বপনের পদ্ধতি অনুসরণ করে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু নিম্নমানের বীজের কারণে বীজ গজায়নি। ফলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতির পাশাপাশি সময় নষ্ট হয়েছে। তাই সাজ্জাদ-হাসান সীডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কথা স্বীকার করেছেন সাজ্জাদ-হাসান সীডের নির্বাহী পরিচালক হাসান আলী। তিনি জানান, গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা কিছু কৃষকের বোরো বীজ অঙ্কুরোদগম না হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তাদের আংশিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানান তিনি। যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমসের আলী জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো বীজতলা ভাল আছে। তবে কিছু কৃষক সাজ্জাদ-হাসান সীডের বোরো বীজে ধরা খেয়েছে। বীজগুলো নিম্নমানের হওয়ায় অঙ্কুরোদগম হয়নি। ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, একাধিক কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন তাদের বীজতলা পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি কৃষি বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অভিহত করা হয়েছে।
×