ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ড. শাহজাহান মণ্ডল

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মানবাধিকারের দলিল

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মানবাধিকারের দলিল

৩০ অক্টোবর ২০১৭ ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে যে স্বীকৃতি প্রদান করেছে তা বাঙালী ও বাংলাদেশীদের জন্য পরম এক আনন্দ ও গর্বিত হওয়ার বিষয়। এটা শুধু দেশের সীমানার মধ্যে বইছে তা নয়, এর বিস্তার রাষ্ট্র-সীমানার বাইরে সমস্ত ভূ-খণ্ড, জলরাশি আর পর্বতময়। কিউবার সমাজতান্ত্রিক-বিপ্লবী রাষ্ট্রনায়ক ফিদেল ক্যাস্ট্রো যে বঙ্গবন্ধুকে দেখে হিমালয় দেখার সাধ মিটিয়েছিলেন সেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সেদিন নিশ্চয় হিমালয়কে স্পর্শ করেছিল। ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কোর স্বীকৃতির সংবাদও হিমালয়কে ছুঁয়েছে নিশ্চয়। এ সংবাদ শুধু বাঙালীর অর্জন-সংবাদ নয়, বিশ্বের সমস্ত নিপীড়িত-বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য আশা-জাগানো সুসংবাদ। একজন অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যেমন পুণ্যের, শত-কোটি অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ইউনেস্কোর এই ঘোষণাও তেমনি পুণ্যের নিঃসন্দেহে। আন্তরিক অভিনন্দন ইউনেস্কোসহ জাতিসংঘের প্রতি। ইউনেস্কোর স্বীকৃত ৪৭৭টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে ভাষণ মাত্র একটি। সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, যা তিনি প্রদান করেন ঢাকার রেসকোর্সে, বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এখন থেকে ৪৬ বছর আগে। অন্যগুলো ডকুমেন্ট বা বস্তু। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি এতদিন পর হলেও মনে রাখা প্রয়োজন, এ ভাষণের মাহাত্ম্য সেই রেসকোর্সেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল, যা ছিল সময়োপযোগী, আবশ্যিক, অলিখিত এবং বঙ্গবন্ধু ও বাঙালীর পাক-আমলের ২৩ বছরের মানবাধিকার-বঞ্চনার যথার্থ চিত্রায়ন। বস্তুত পৃথিবীতে যতগুলো মানবাধিকার দলিল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও প্রভাব-বিস্তারকারী হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। বিশ্বের লিখিত মানবাধিকার দলিলগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২১৫ সালের ম্যাগনা কার্টা নামক চুক্তি (ইংল্যা-ের রাজা জন ও ব্যারনদের মধ্যে সম্পাদিত), ১৬২৮ সালের পিটিশন অব রাইটস, ১৬৮৯ সালের বিল অব রাইটস, ১৭৭৬ সালের আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা ও সংবিধান, ১৭৮৯ সালের ফ্রান্সের সংবিধান প্রভৃতি। এগুলো সবই মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একেকটি মহান সোপান। শুধু ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা ফ্রান্সের জনগণের নয়, এগুলো পৃথিবীর সর্বকালের সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পবিত্র দলিল যার আবেদন ও মহিমায় মাথানত করে সহস্র স্বৈরাচার, লাখো নিউক্লিয়ার বোমা। খড়ৎফ অঃশরহ বলেন, ফরাসী ঘোষণার একটি মাত্র পৃষ্ঠা বহু লাইব্রেরির চেয়ে শ্রেয় আর নেপোলিয়নের সকল সৈন্যের চেয়ে শক্তিশালী। একইভাবে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ছিল বাঙালীদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য তবুও তা রাষ্ট্রীয় গ-ি পেরিয়ে সেই দিনই বিশ্বের সকল নিপীড়িত-বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের এক আলোক-সঞ্চারী হৃদয়গাঁথায় পরিণত হয়। বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার ২৭টি। এর মধ্যে ১৯৪৮ সালের টহরাবৎংধষ উবপষধৎধঃরড়হ ড়ভ ঐঁসধহ জরমযঃং-এ রয়েছে ২৫টি। বাকি দুটির একটি হলো জনগোষ্ঠীর আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার যা স্বীকৃত হয় ১৯৬০ সালের উবপষধৎধঃরড়হ ড়হ ঃযব এৎধহঃরহম ড়ভ ওহফবঢ়বহফবহপব ঃড় ঈড়ষড়হরধষ ঈড়ঁহঃৎরবং ধহফ চবড়ঢ়ষবং-এ, এবং অপরটি হলো উন্নয়নের অধিকার যা স্বীকৃত হয় ১৯৮৬ সালের উবপষধৎধঃরড়হ ড়হ ঃযব জরমযঃ ঃড় উবাবষড়ঢ়সবহঃ-এ। ২৭টি মানবাধিকার পাঁচ ভাগে বিভক্ত নাগরিক ও রাজনৈতিক (বা পুঁজিবাদী) এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক (বা সমাজতান্ত্রিক)। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এই ভাষণের প্রতিটি বাক্য বিন্যাসে, পরতে পরতে এই পাঁচ প্রকার মানবাধিকারই একভাবে কিংবা অন্যভাবে স্বর্ণালী আঁশের মতো জড়িয়ে আছে। সবচেয়ে বড় মানবাধিকার হলো জীবনের অধিকার। এই জীবনের অধিকার থেকে বাঙালী জনগণ যে পাকিস্তানী আমলের ২৩ বছর বঞ্চিত হয় তার উল্লেখ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শুরুতেই রয়েছে এভাবেÑ ‘আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বছরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ...১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ... ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে ৭ জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ... জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপর, আমার মানুষের বুকের উপর গুলি করা হয়েছে। কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন।’ বঙ্গবন্ধুর এসব বক্তব্য যে নিছক কথার কথা ছিল তা কিন্তু নয়, লাখ লাখ জনতা মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে সাক্ষ্য দেয় যে, বঙ্গবন্ধু যা বললেন তা চন্দ্র-সূর্যের মতো সত্য। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের শুরুর দিকে বাংলার মানুষের দুর্দশা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ‘এদেশের মানুষ অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।’ লাখো-জনতার সমর্থিত বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, ১৯৪৭-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব-পাকিস্তানী হিসেবে ২৩ বছর এদেশের মানুষ অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মানবাধিকার ভোগের ক্ষেত্রে ছিল বন্দী ও বঞ্চিত। প্রধান নাগরিক ও রাজনৈতিক মানবাধিকার হলো সমবেত হওয়ার অধিকার, সংগঠিত হওয়ার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার ও আন্দোলনের অধিকার। যে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এগুলো মৌলিক অধিকারও বটে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ৩১৩ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন তথা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেলেও তৎকালীন সরকার যখন সরকার গঠন করতে দেয়নি তখন বাঙালী জাতির মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ বজ্রকণ্ঠে বললেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই।’ জনগণের আন্দোলনের অধিকার চর্চা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই যে, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাছারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে মূলত ও প্রধানত যে মানবাধিকারটি সেদিন প্রকাশিত হয়েছিল এবং চর্চার আহ্বান উচ্চারিত হয়েছিল তা হলো বাঙালী জনগোষ্ঠীর আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার। আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অর্থ কী? এর অর্থ নিরূপণ করা হয় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে। অভ্যন্তরীণ আত্মনিয়ন্ত্রণ বলতে জনগণের সেই অধিকার বোঝায় যা দ্বারা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়গুলো তারা নিজেদের সম্মিলিত ইচ্ছা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, ইচ্ছামত রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করতে পারে, সরকারের ধরন ও সরকার ব্যবস্থা পছন্দ করতে পারে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা পছন্দ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থাৎ যেখানে জনগণের ইচ্ছেমতো দেশ চালাতে সরকার বাধ্য থাকে সেখানেই, বলা যায়, অভ্যন্তরীণ আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার বিরাজমান। উবপষধৎধঃরড়হ ড়হ চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ খধি অনুযায়ী, সেই সরকারকেই বলা যায় জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চর্চার সুযোগ করে দিয়েছে যা তার ভূ-খ-ের সমস্ত জনগণের জাতি, বংশ বা বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিনিধিত্ব করছে। বাহ্যিকভাবে, কোন রকম বাহ্যিক হস্তক্ষেপ ছাড়া জনগণের ইচ্ছা ও প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক মর্যাদা বেছে নেয়ার অধিকারকে বলা যায় বাহ্যিক আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার। আন্তর্জাতিক আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার কতটুকু সমর্থণযোগ্য তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় ঞযব উবপষধৎধঃরড়হ ড়হ চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ খধি থেকেÑ কোন রাষ্ট্র যদি ‘সমানাধিকার ও জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ’ নীতি মেনে না চলে তথা সকল জনগণের যথাযথ অধিকার অস্বীকার করে তথা ওই রাষ্ট্র জাতি-গোত্র-বর্ণ ভেদে জনগণের উপর বৈষম্যমূলক আচরণ করে এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার না থাকে তাহলে জনগণের পূর্ণ আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার বৈধ হয়ে যায়। বলাবাহুল্য, বাঙালী জনগোষ্ঠী পাকিস্তানী ২৩ বছর নিপীড়িত-বঞ্চিত ও শোষিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়ভাবেই তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার বৈধ হয়ে পড়ে। আর তারই প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে এভাবেÑ ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়- তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।’ বাঙালী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের চূড়ান্ত পর্যায় স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ঘোষণাতেই প্রদান করেন এভাবে- ‘... তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের এই ভাষণ বাঙালীকে মুক্তির আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে যেন দরজা গলিয়ে স্বাধীনতার সাগরে ঠেলে দেয়। চূড়ান্ত সংগ্রামের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাঙালী লাঠি ধরে শোষক-নির্যাতক পাক-সরকারের বিরুদ্ধে। জীবনবাজি রেখে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। ত্রিশ লাখ প্রাণ, তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর হাজারো পঙ্গুত্বের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। আন্তর্জাতিক আইন-সম্মত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল ইতিহাসের অমোঘ প্রয়োজনীয়তা। জানি না বঙ্গবন্ধু সেদিন এটি প্রদান না করলে আমাদের স্বাধীনতা আরও কতোকাল বিলম্বিত হতো। মানবাধিকারের এই মহান অলিখিত ভাষণকে মানবাধিকার দলিল রূপে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করা অতীব জরুরী এবং সময়ের দাবি। কারণ এর অবদান শুধু বাঙালীর স্বাধীনতা আনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচিত হলেই যথেষ্ট হয় না, এর অবদান পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী, নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। সঙ্গতভাবে বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি মাত্র বাক্য বহু লাইব্রেরির চেয়ে শ্রেয় আর বিশ্বের শোষক চক্রের সকল সৈন্যের চেয়ে শক্তিশালী। লেখক : অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া [email protected]
×