ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গাদের পুষ্টি সমস্যা মোকাবেলায় ইউএসএইডের সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান

প্রকাশিত: ০২:০০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের পুষ্টি সমস্যা মোকাবেলায় ইউএসএইডের  সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুষ্টিমান উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) ফুড ফর পিস প্রোগ্রামের আওতায় ইউনিসেফের জন্য ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। আগস্টে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই পর্যন্ত ৯০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা প্রদান করেছে। আগস্টের ২৫ তারিখ থেকে সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে ৬ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে স্থায়ী ও অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে। ইউএসএইডের মিশন প্রধান ইয়ানিনা জারুজেলস্কি বলেন, এই অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যে রোহিংগা শরণার্থীদের সাহায্য করছে সেই প্রশংসনীয় প্রচেষ্টাতে পুষ্টিমান উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরে ইউএসএইড আনন্দিত। তিনি আরো গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইউনিসেফের সাথে এই অংশীদারিত্ব, অরক্ষিত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে শিশুদের জীবনে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে ও দুর্দশা লাঘবে সাহায্য করবে। কোথাও কোনো শিশুরই অপুষ্টিতে ভোগ উচিত নয়। শরণার্থীদের পুষ্টিমান উন্নয়নে ইউনিসেফ একটি এলাকা ভিত্তিক তীব্র অপুষ্টি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে যার মধ্যে রয়েছে, রেডি টু ইউস থেরাপিউটিক ফুডস ইন ট্রিটমেন্ট (আরইউটিএফ)। এই প্রকল্পটি তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৬৬ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুকে সেবা দিবে। শরণার্থী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩ লাখ ৪৮ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, ৩৬ হাজার গর্ভবতী নারী, ৮৪ হাজার দুগ্ধদানকারী নারী এবং ২ লাখ ৪ হাজার কিশোরীর মাঝে প্রকট পুষ্টিহীনতা সনাক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক এই অন্ত প্রবাহের ব্যাপকতা এবং শরণার্থীদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক শিশু এই সংকট সমাধানের প্রচেষ্টাকে জটিলতর করে তুলেছে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাত'শ কোটি ডলারেরও বেশী উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছে। ২০১৬ সালে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে প্রায় বিশ কোটি ডলার প্রদান করেছে। ইউএসএআইডি বাংলাদেশে যে সকল কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে – গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবার উন্নয়ন ও অভিযোজন এবং স্বল্প কার্বন উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতির সংগে খাপ খাওয়ানো।
×