ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অসময়ের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে কেটি টাকার কাঁচা ইট

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

অসময়ের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে কেটি টাকার কাঁচা ইট

সংবাদদাতা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা ॥ অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কাঁচা ইট রক্ষায় কোনো প্রস্তুতি ছিল না ইটভাটা মালিকদের। তাই অধিকাংশ ভাটায় পোড়ানোর অপেক্ষায় রাখা কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এতে ভাটার মালিকদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি তো হয়েছেই, ভাটাগুলোতে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় নয়’শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টিতে পাবনার ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার ১৪টি ইটভাটায় প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। ভাটার মালিকদের হিসাব অনুযায়ী এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। উপজেলার ৩জন ভাটা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক মাসে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উপজেলার ইটভাটাগুলোতে প্রচুর ইট তৈরি করা হয়। কাঁচা ইটগুলো শুকানো ও পোড়ানোর অপেক্ষায় মাঠে সাজিয়ে রাখা ছিল। এসব ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে তিন দিনের বৃষ্টিতে প্রতিটি ভাটায় ৩-৪ লাখ কাঁচা ইট গলে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলা দু’টির চারটি ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক নেই। সাজানো কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। কিছু ইট পলিথিন দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। ভাঙ্গুড়ার বিআইবি ইটভাটার স্বত্বাধিকারী ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ‘আমার প্রায় চার লাখ ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। নষ্ট ইট সড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া নতুন ইট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ভাটাও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে এবার ইটের দাম কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অন্যথায় ভাটার মালিকদের পথে বসতে হবে।’ ফরিদপুর উপজেলার নেচড়াপাড়া গ্রামের এম জেড আই ইটভাটার ব্যবস্থাপক আকরাম হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে তৈরি কাঁচা ইটের ৭৫ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে নতুন ইট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ভাটা বন্ধ রাখতে হবে। অন্যদিকে বৃষ্টিতে ভাটার আগুনের তীব্রতা কমে যাওয়ায় কয়লা খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবছরে লোকসান বাড়বে। ভাঙ্গুড়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের সমিতির আওতায় উপজেলায় ৭টি ইটভাটা রয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে এসব ভাটার প্রায় ২৫ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এতে ভাটার মালিকদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ক্ষতি কীভাবে পোষাবে, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। উৎপাদন খরচ মেটাতে ইটের দাম কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
×