ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশখালীতে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত চাষীরা

প্রকাশিত: ০২:০৭, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

বাঁশখালীতে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত চাষীরা

জোবাইর চৌধুরী, নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ বঙ্গোপসাগরে উপকূল বেষ্ঠিত চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৭টি উপজেলায় লবণ চাষের জন্য মাঠ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। সবেমাত্র ঐ জায়গায় চিংড়ি ঘের গুটিয়ে লবণ মাঠ তৈরি করছেন চাষীরা। তাছাড়া গত বছরে লবণ চাষে সাফল্যেকে পুঁজি করে এ বছর চাষীরা পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গন্ডামারা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় হাজার একর মাঠ জুড়ে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠ পরিচর্যায় নিয়োজিত হাজারো চাষী পরিবার। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা অবদি যেন চাষীদের অন্য কোন কাজ করার সময় নেই। উপজেলার ছনুয়া, গন্ডামারা, বড়ঘোনা, সরল, পশ্চিম মনকিচর, কাথরিয়া, খানখানাবাদ ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় লবণ উৎপাদন হয়। চাষীরা মোটামুটি পর্যায়ে লবণের দামের আশায় এবং চাহিদা থাকায় বেশ কিছু লবণ ব্যবসায়ী লবণ উৎপাদনের পর মজুদ করে রাখে। সম্প্রতি সময়ে এই লবণের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা গত বছরের মজুদকৃত লবণ বিক্রির করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বড়ঘোনা এলাকার লবণ ব্যবসায়ী আবু শামা মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, গত বছর লবণের পর্যাপ্ত মূল্য পেয়েছি। কেননা দেশীয় উৎপাদনকৃত লবণ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা গেছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ হতে লবণের আমদানী বন্ধ থাকায় লবণ চাষীরা পর্যাপ্ত মূল্য পেয়েছেন বলেও তিনি জানান। এদিকে সাধারণ লবণ চাষীরা বলেন সরকার যদি বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত এসব লবণ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিতে সহযোগিতা করেন তাহলে এখানকার লবণ চাষীরা আরো বেশী উপকৃত হবে। তারা এই লবণ শিল্প রক্ষা এবং মানসম্মত করার জন্য এবং লবণ উৎপাদনে সরকারের কাছ থেকে আরো বেশী সহযোগীতা কামনা করেছেন।
×