ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০১:২০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে সন্তান অসুস্থ্য হওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যুবদল নেতা এক ব্যবসায়ীকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবী করেছে নিহতের স্বজনরা। নিহতের নাম মোশারফ হোসেন (৪৫)। স্বজনদের দাবী কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ি মোশারফ হোসেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী মামুন হত্যা মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ছিলেন। এছাড়াও তিনি ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। নিহতের ভাই স্কুল শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, মোশারফ স্থানীয়ভাবে গরুর ব্যবসা করতো। মোশারফের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩২) স্বামীকে না জানিয়ে ঘরে থাকা গরু ব্যবসার কিছু টাকা গোপনে নিয়ে খরচ করে ফেলে। বিষয়টি প্রকাশ পেলে গত কয়েকদিন ধরে মোশারফ ও পারভীনের মাঝে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে তিনদিন আগে সন্তানকে নিয়ে পারভীন স্থানীয় বড়গাঁও রামুইড়া পাড়া এলাকায় তার বাপের বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনার পর রবিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্তান অসুস্থ্য হওয়ার খবর দেওয়া হয় মোশারফকে। খবর পেয়ে অসুস্থ্য সন্তানকে দেখতে ওইদিন সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে যায় মোশারফ। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই বাড়ির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মোশারফের উপর হামলা চালায়। এসময় মোশারফ সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর সময় অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে এ ঘটনার পরপরই মোশারফের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার ভাই মোশারফকে হত্যা করেছে। নিহতের পরিবার জানায়, ২০১২ সালের ২৮ মে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় বড়গাঁও গ্রামের বালু ব্যবসায়ী মো. মামুন ভূঁইয়া। ওই খুনের মামলার ৩নং স্বাক্ষী ছিলেন মোশারফ হোসেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
×