ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় কুমড়ার বড়ী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা

প্রকাশিত: ২১:২২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গায় কুমড়ার বড়ী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা

সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা ॥ শীতের মৌসুম দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার নারীরা কুমড়ার বড়ী দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে চলছে কুমড়া বড়ি তৈরীর ধুম। কুমড়া বড়ি তরকারির একটি মুখরোচক উপাদন। এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় নতুন মাত্রা। শীতের আগমনের সাথে সাথে কুমড়া বড়ি তৈরীর ব্যস্ততা বেড়েছে গ্রাম অঞ্চলের নারীদের মাঝে। বর্ষাকাল বাদে বাকী মাস গুলোতে কমবেশী কুমড়া বড়ি তৈরী করা হলেও শীত মৌশুমের শুরু থেকে এই অঞ্চলের নারীরা কুমড়ার বড়ী দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আশ্বিন মাস থেকে ফালগুন এই ৬ মাস কুমড়া বড়ি তৈরীর ধুম পড়ে যায়। শীতকাল কুমড়া বড়ি তৈরীর ভরা মৌসুম। এ সময় গ্রামের প্রতিটা বাড়ীতে কমবেশি কুমড়া বড়ি তৈরী করা হয়। অনেক পরিবার তাদের নিজেদের চাহিদা মত বড়ী তৈরী করে। আবার অনেক পরিবার তাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রিও করা হয়ে থাকে । শীতের সময় কুমড়া বড়ির চাহিদা থাকে বেশী, আর গ্রাম অঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়া বড়ি তৈরী করে বাড়তি উপার্জনের সুযোগ পেয়ে থাকে। কুমড়া বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ মাসকলাই আর চালকুমড়া। বাজারে প্রতি কেজি মাসকলাই এর ডাল ৯০-১০০ শত টাকা আর চাল কুমড়া সাইজ হিসাবে ৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। ৪- ৫ কেজি ওজনের চালকুমড়ার সাথে ২ কেজি মাসকলাইয়ের মিশ্রণে কুমড়া বড়ি ভাল হয় বলে জানান গ্রামের নারীরা। প্রথমে কলাই রৌদ্রে শুকিয়ে যাতায় ভেঙ্গে পরিস্কার করে বা না ভেঙ্গে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হয়। প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা মাসকলাই পানিতে ভেজাতে হয়। তারপর ঢেকি বা শিল-পাটা দিয়ে অথবা মেশিনে কুমড়া-কলাই মিশ্রন করে পিশাই করা হয়। পরে বড়ির মিশ্রণ তৈরী করা হয়। পরে বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ বা খোলা জায়গায় ভোর থেকে রোদে বড়ি বসানো শুরু করা হয়। বাসের চাটাই অথবা তারের নেটের উপর পাতলা কাপড়ে সারি সারি বড়ি বসানো হয়। পরে এই বড়ি খুর ভালো করে শুকাতে হয়। এক কেজি কুমড়া বড়ি তৈরী করতে প্রায় ১০০ থেকে-১২০টাকার মত খরচ হয়ে থাকে। আর এই কুমড়ার বড়ী বাজারে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে।
×