ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাম্পের ঘোষণা ॥ পোপের উদ্বেগ

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

ট্রাম্পের ঘোষণা ॥ পোপের উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক ॥ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাঝেই জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টেনিও গুয়েটেরেস সিএনএনকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার উদ্যোগকে ঝুঁকিতে ফেলছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। জেরুজালেমকে ইহুদী, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের 'এক পবিত্র নগরী' বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। একটি বিবৃতি ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন পোপ। আলোচনার মাধ্যমেই কেবল এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো প্যারিসে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসারয়েলের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সূত্র ধরে ম্যাক্রো বলেন, আমি তাকে বলছি, অনুগ্রহ করে শান্তি আনতে আরেকটি সুযোগ দিন। ফিলিস্তিনদের কথা ভাবুন। শান্তি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। শান্তি রয়েছে দুই দেশের দুই নেতার হাতে— তাদের শান্তি স্থাপনের উদ্যোগের ওপর। তবে ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শান্তির জন্য ফিলিস্তিনদের অবশ্যই বাস্তবতার মোকাবেলা করতে হবে। জেরুজালেমই ইসরায়েলের রাজধানী। গত ৩ হাজার বছর ধরেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী ছিলো। এটি কখনোই আর কারও রাজধানী ছিল না। এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কঠিন সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করার প্রতিবাদে মাইক পেন্সের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে অনীহা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই ঘোষণায় বিশ্ব নেতাদের অনেকেই নিন্দা জানাচ্ছেন। পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়ার জন্যও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ২২টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। প্রতিবাদ হচ্ছে খোদ জেরুজালেমেও। সেখানকার একটি বাস স্টেশনে ছুরিকাঘাতে ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা প্রহরীকে আহত করেছে এক ফিলিস্তিনি। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ও প্রতিবাদকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
×