ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ভাষন ছিল সমগ্র বাঙ্গালীর হৃদয়ের কথা

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধু ভাষন ছিল সমগ্র বাঙ্গালীর হৃদয়ের কথা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে অনেকে নানা বিষয়ে বক্তব্য দিতে স্লিপ দিলেও তিনি তা আমলে নেননি। মঞ্চের ডায়াসে উঠে বঙ্গবন্ধু চশমা দিয়ে স্লিপগুলো চাপা দিয়ে রেখেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ৭ মার্চের স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া উপলক্ষে রবিবার সচিবালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ আজ সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদশের মানুষ এতবার শুনেছে, আমরা মনে হয় পৃথিবীর কোনো দেশের ভাষণ এতবার এত মানুষ শোনেনি। আজ ছোট বাচ্চাটি যখন দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণটি মুখস্ত বলে, তখন আমাদের সেই স্মৃতির কথা ভেসে ওঠে।’ ‘বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে কী ছিল? বঙ্গবন্ধু সেই ৭ মার্চ এলেন। আমরা অপেক্ষা করছিলাম, আমরা তখন ছাত্র। আমরা মনে করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু এখন থেকেই (স্বাধীনতার) ঘোষণা দিয়ে দেবেন। কৃষক একটা বিরাট লাঠি নিয়ে এসেছিলেন। যে নৌকা চালায় তিনি একটা বৈঠা নিয়ে এসেছিলেন।’ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সবাই এসে আমরা সেই রেসকোর্স ময়দানে অধীর আগ্রহে বসেছিলাম। তিনি এলেন, স্টেজটা অনেক উঁচু ছিল। তিনি ওপরে উঠলেন। যথারীতি সভা শুরু হলো। আমি যে দৃশ্যটা দেখলাম, অনেকে অনেক কথা তার কানে কানে বলছিলেন। তাকে স্লিপ দিচ্ছিলেন- এটা বলুন, সেটা বলুন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব স্লিপ হাতে ধরলেন, মঞ্চে উঠলেন। ডায়াসে দাঁড়িয়ে তিনি স্লিপগুলো রেখে দিলেন, তার চশমাটা স্লিপগুলোর ওপরে রাখলেন। তারপর শুরু করলেন তিনি সেই হৃদয়ের কথাগুলো- যেটা তিনি বিশ্বাস করতেন। যার জন্য তিনি ২৩ বছর সংগ্রাম করেছেন, যার জন্য তিনি কারা নির্যাতিত হয়েছেন। সব কিছু তিনি বরণ করেছেন এ জায়গাটিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য।’ ‘বঙ্গবন্ধু এ ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতার কথা বলেছেন। আমরা কীভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হবো, যার আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে- এসবই একের পর এক তিনি বলে গিয়েছিলেন। কারও লিখিত কথা তিনি বলেননি’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি আমাদের বঙ্গমাতা তাকে (বঙ্গবন্ধুকে) উৎসাহিত করে বলেছিলেন যে, তুমি যা বিশ্বাস করো, তুমি যা স্বপ্ন দেখো, তুমি যা হৃদয়ে ধারণ করেছো, তুমি যে আদর্শে চলছো, যে টার্গেট নিয়ে তুমি চলছো, সেই কথাগুলো বলো। আর কারও কথা শুনিও না। আজ সেই ভাষণটি কালজয়ী ভাষণ, সারা পৃথিবীর স্বীকৃত ভাষণ।’ সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব রাখাল চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×