ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০০:২৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঢাকার পল্লবীতে সায়েরা খাতুন আলো নামের এক নারীকে হত্যার দায়ে তার দেবর রাব্বি হোসেন মনার ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। রবিবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান চার বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। প্রাণদণ্ডের আসামি রাব্বি রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি পল্লবীর ‘নন লোকাল রিলিফ ক্যাম্পের’ ইসমাইল হোসেনের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, সায়েরা খাতুন আলো তার স্বামী সোহেলকে নিয়ে পল্লবীর এক বাসায় ভাড়া থাকতেন। আলো সেলাইয়ের কাজ করতেন। তার দেবর রাব্বি ওই বাসাতেই থাকতেন। কাজকর্ম না থাকায় রাব্বির কোনো আয় রোজগার ছিল না। এ নিয়ে ভাবীর সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়াঝাটি হত। আলো তার বন্ধক রাখা একটি সোনার চেইন ফেরত আনার জন্য ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। নিরাপত্তার কথা ভেবে রাব্বিকেও তিনি সঙ্গে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লবীর আব্বাস উদ্দিন স্কুলের ঢালে আলোর লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। আলোর ভাই মো. শাহজালাল পরে থানায় মামলা করলে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাব্বি পরে ভাবীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ওই বছর ১৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে রাব্বির বিচার শুরু করে আদালত। বাদীপক্ষে মোট সাতজনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক রবিবার এ মামলার রায় দেন বলে এ আদালতের পেশকার আবুল কালাম আজাদ জানান।
×