ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নোবেল পুরস্কার প্রদান আজ

প্রকাশিত: ২০:১০, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

নোবেল পুরস্কার প্রদান আজ

অনলাইন ডেস্ক ॥ সফল ও অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সেই ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে আসা হচ্ছে। এটিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার। এই পুরস্কারের পরিসংখ্যান বলছে, নোবেল লরিয়েট বা নোবেলজয়ী নারীর সংখ্যা এই পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বে নেহাত নগণ্য, যা প্রতি ২০ জনে ১ জন। যেই সময়টায় একটু একটু করে নারীরাও নোবেল পুরস্কার পাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই পরপর দ্বিতীয় বছরের মতো শুধু পুরুষের ঝুড়িতেই গিয়ে পড়ল সব নোবেল পুরস্কার। প্রসঙ্গত, আজ ১০ ডিসেম্বর এ বছরের নোবেলজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার কথা। এর ঠিক আগ দিয়ে নারীদের ঝুড়িতে নোবেল প্রাপ্তি আদতে কতটা, তা সামনে এল। পুরুষতান্ত্রিক এই বিশ্বে নারীরা পদে পদে বঞ্চনার শিকার—এ তথ্য নতুন নয়। কিন্তু নোবেলের ক্ষেত্রেও যে নারীরা ‘বঞ্চনার শিকার’—এ তথ্যই নতুন করে আবার সামনে এল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯০১ থেকে ১৯২০ সালে মাত্র ৪ জন নারী নোবেল পান। ১৯২১-৪০ এবং ১৯৪১-৬০ সালে যথাক্রমে ৫ ও ৩ জন নারী নোবেল পুরস্কার পান। এরপর ১৯৬১ থেকে ১৯৮০ সালে ৭ নারী এবং ১৯৮১ থেকে ২০০০ সালে ১১ জন নারী নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। আর ২০০১ থেকে ২০১৭ সালে মোট ১৯ নারী বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাদ দিলে দেখা যায়, ১৯০১ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে যেখানে ৮৯৬ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তার মধ্যে মাত্র ৪৮ জন নারী। তাঁদের মধ্যে মেরি কুরি দুবার নোবেল পান। এতে আরও দেখা যায়, সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষেরা এগিয়ে। আর আর্থনীতিতে তা প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। শান্তিতে নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে নারীরা ভালো অবস্থানে আছেন। চলতি বছরে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া রিচার্ড থ্যালার গত বৃহস্পতিবার স্টকহোমে বলেন, ‘আপনি লক্ষ করলে দেখবেন, আমরা (নোবেলপ্রাপ্ত) সবাই শ্বেতাঙ্গ। আমরা সবাই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ এবং এই প্রজেক্টগুলো চলছিল ৩০ বছর কিংবা আরও বেশি সময় ধরে।’ পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতিতে নোবলজয়ীদের নির্বাচনকারী রয়্যাল সুইডিশ একাডেমির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি গোরান হ্যানসন বলেন, এখন পর্যন্ত খুব বেশি নারী নোবেল পুরস্কার পাননি। বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি অবশ্য এ-ও জোর দিয়ে বলেন, নোবেল কমিটি পুরুষের প্রতি পক্ষপাত করে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, গবেষণাগারগুলোর দুয়ার দীর্ঘদিন পর্যন্ত নারীদের জন্য বন্ধ ছিল, এটিই পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ।
×