ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারধর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে ॥ ফরহাদ মজহার

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

মারধর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে ॥ ফরহাদ মজহার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ কবি, প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অভিযোগ করেছেন, স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে চাপ দিয়েছে। মারধর করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গুম’ করার উদ্দেশ্যে তাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারের জন্যও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরাল ভূমিকা রেখেছে। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কল করে জানান, তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেরে ফেলাও হতে পারে। এরপর ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গত ১৪ নবেম্বর সংশ্নিষ্ট আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরহাদ মজহার অপহরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় বাদী ও ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার ও ভুক্তভোগী ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার অনুমতিও চাওয়া হয়। আদালতে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। স্ত্রী ফরিদা আখতারের দায়ের করা ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতের অনুমতি দেওয়ার পর শনিবার গণমাধ্যমের সামনে আসেন তিনি। ফরহাদ মজহারের স্বজনদের ভাষ্য, গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। ওই রাতেই ফরিদা আক্তার তার স্বামীকে অপহরণের অভিযোগে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন; যা পরে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ১৮ ঘণ্টার মাথায় গভীর রাতে যশোরে একটি বাস থেকে নাটকীয়ভাবে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে র্যাব-পুলিশ। পরদিন সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে নেওয়া হয়। ফরহাদ মজহার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানান, অপহরণ করে খুলনায় নেওয়ার পর তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। পরে তাকে নিজের জিম্মায় দেন আদালত।
×