ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ ও কৃষকলীগের দু’নেতাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর জড়িতদের বহিঃস্কার দাবী

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

যুবলীগ ও কৃষকলীগের দু’নেতাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর জড়িতদের বহিঃস্কার দাবী

স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী ॥ পুলিশের হাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে যুবলীগ নেতা সাবু ও কৃষকলীগ নেতা আবু বক্কর ইয়াবাসহ মাদক দ্রব্য নিয়ে ধরা পড়ায় ঈশ্বরদীর পাড়া মহল্লাসহ সর্বোত্র ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন,ভুমিমন্ত্রী,পৌর মেয়র ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় এশাধিকবার ঈশ্বরদীতে মাদক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন নেতা ও পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক দ্রব্য আমদানী-বিক্রি বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্যও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ,র্যাব ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েছে অসংখ্য ছিচকে মাদক সেবি ও ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়ীদের আতœ সমর্পণও করানো হয়েছে ঘটাকরে। তার পরও গডফাদাররা রয়েগেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এ কারণে কতিপয় নেতা ও পুলিশের মাদক বিরোধী চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যেও মাদক বিরোধী চেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিন্তু মাদক আমদানী বিক্রি বন্ধ হয়না। বরং ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এমন এক ভয়াবহ অস্থার মধ্যে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ এক সপ্তাহের ব্যবধানে যুবলীগ ও কৃষকলীগের দু’নেতাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। যদিও লালপুর ও ভেড়ামারা থানার কতিপয় কর্মকর্তা দু’একজন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও অর্থনিয়ে এ ব্যবসায় সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ঈশ্বরদীর সকল মহলের মানুষের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে য়ে,আসলে মাদকের ব্যবসায়ী কারা এবং কেনইবা ব্যবসা বন্ধ হয়না ? দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযানের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ভুমিমন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবী। তিনি যেন শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে মাদকের সাথে জড়িত নেতাকর্মীদের চিনহিত করে দল থেকে বহিঃস্কার করবেন বলেও ঐসব মানুষ বিশ্বাস করেন। সুত্রমতে,কিছু খুচরা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ঘটাকরে বার বার আতœসমমর্পণ করানো এবং মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হলেও ঈশ্বরদীতে মাদকের গড ফাদাররা বহাল তবিয়তে মাদকের আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে যুবক সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার দিনে দিনে মারাতœক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। যুব সম্প্রদায়,শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার তথা সুস্থ সমাজ গঠনে এসব মাদক দ্রব্য আমদানী বিক্রি বন্ধ করা জরুরি। যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের বার বার মাদক ব্যবসায় জড়িতের প্রমান মিলছে,সেখানেই শুধুমাত্র স্বচ্ছ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই যথেষ্ঠ বলে মনে করেন ভুক্তভোগী মহল। পাকশী হঠাৎ পাড়া এলাকা ,আওতা পাড়া ,কলেজ এলাকার একাধিক ব্যক্তি,কাচারি পাড়ার একাধিক ব্যক্তি ও মহিলা দীর্ঘদিন থেকে নদী,সড়ক,নৌ,ট্রেন পথে ইয়াবা,হেরোইনসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য আমদানী রপ্তানী করছে। নদীপথে পাকশী হঠাৎ পাড়া,সাঁড়া এলাকায় বড়বড় চালান এনে হঠাৎ পাড়াসহ নির্দিষ্ট গুদামে সংরক্ষণ করছে। অন্যান্য এলাকাতেও একইভাবে আমদানী ও সংরক্ষণ করা হয়। পরে তাদের নিয়োগকৃত ব্যক্তি ও ছদ্মবেশী কিছু খারাপ প্রকৃতির মহিলারা আওতাপাড়া ,পাকশী বাজারসহ বেশ কিছু নির্দিষ্ট সেন্ডেল ,মোবাইল, হার্ডওয়ার ও ওষুধের দোকান এবং তাদের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থানকারী ক্যারিয়ারের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে। দু’একজন মহিলাকে কখনও ক্যামেরা বহণ করতে দেখা যায়। বিপদের আশংকা বুঝতে পারলেই তারা নাকি ভোয়া সাংবাদিকের ও পরিচয় দিয়ে থাকে। আবার মাঝে মধ্যেই প্রেস ও সাংবাদিক লেখা স্টিকার লাগিয়ে প্রাইভেট কার,মাইক্রো,এ্যাম্বুলেন্স ও ওষুধ কোম্পানীর গাড়ির ভিতরের বডিতে সেট করে মাদক পাচার করছে। ঐসব মহিলাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার,ব্ল্যাক মেইলিংসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যুব সম্প্রদায়,শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার তথা সুস্থ সমাজ গঠনের প্রধান অন্তরায় এসব মাদক দ্রব্য আমদানী বিক্রি বন্ধ করা জরুরি।
×