ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাহিত্যবিনোদ মুসলিম আলী আখন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

সাহিত্যবিনোদ মুসলিম আলী আখন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

উপমহাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষাগুরু, সমাজসেবক, গবেষক, সাহিত্যিক, কবি, গীতিকার, ছড়াকার ও সাহিত্যবিনোদখ্যাত মুসলিম আলী আখন্দের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৯ ডিসেম্বর। তিনি ১৯১৯ সালে ১ আগস্ট বর্তমান পটুয়াখালী জেলার বদরপুর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল আলী আখন্দ ও মাতার নাম আয়েশা খাতুন। তারা অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী লেখক ১৯৩০ সালে প্রাইমারী বৃত্তি ও ১৯৩২ সালে মধ্য বাঙ্গালা স্কুল থেকে ছাত্রবৃত্তি অর্জন করেন। এ সময় থেকেই শুরু হয় তার কাব্যচর্চা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন (ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট-১৯৫১), এমএ (এড) (ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট-১৯৫২) ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি পাদ্রী শিবপুর প্রাইমারী ট্রেনিং সেন্টারে ‘ভার্ণাকুলার টিচার’ হিসেবে সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি পেশাগত মানোন্নয়নে এবং প্রাথমিক শিক্ষার জড়তা কাটিয়ে তুলতে স্বীয় অবদান রাখতে সক্ষম হন। প্রাথমিক শিক্ষায় তিনি সঙ্গীত, চিত্রকলা ও নাটকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ১৯৪৩ সালে লেখক ‘শিক্ষা’বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে ‘বঙ্গীয় পুরাণ পরিষদ’ (শান্তিপুর, নদীয়া) থেকে ’সাহিত্যবিনোদ’ উপাধি লাভ করেন ও আর্য ভারত বিদ্যাতীর্থের সভ্য হন। বিভিন্ন সময়ে পটুয়াখালী সমাচার, জনতা, বরিশাল দর্পণ, বাকেরগঞ্জ পরিক্রমা, বাংলার বনে আন্ধার মানিক ও কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত ‘আলো’ পত্রিকায় তার বহু প্রবন্ধ ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। পটুয়াখালী থেকে প্রকাশিত মাসিক আন্ধার মানিক পত্রিকার তিনি অন্যতম সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া তিনি পটুয়াখালী থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘পল্লীমেলা ও প্রদর্শনী’ একুশে স্মরণিকা ‘ভুলি নাই’ সম্পাদনা করেন। লেখক জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুসলিম আলী আখন্দ সাহিত্যবিনোদ রচিত প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে ‘প্রাইমারী স্বাস্থ্যপাঠ’ (১৯৪৩), ‘বিজ্ঞানের আলো’ (১৯৫৩), ‘শিশু পর্যবেক্ষণ’ (১৯৫৪), ‘জঙ্গে কাশ্মীর ও অন্যান্য কবিতা’ (১৯৫৪), ‘পাঠ পরিকল্পনা’ (১৯৭৬) ‘সাহিত্য সংকলন’ (১৯৭৬), ‘নৈতিক বলে সবল হও’ (১৯৭৭), ‘তন্ত্রের বিবর্তন’ (১৯৭৮), ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাবিক্ষোভ’ (১৯৮০) প্রভৃতি। আজকের দিনে খ্যাতিমান এই সাহিত্যিকের স্মরণে বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি।-বিজ্ঞপ্তি
×