ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইল ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ১৩

প্রকাশিত: ০১:১২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

টাঙ্গাইল ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ১৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিস্টারের বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং), বিবিএ, বি.ফার্ম এবং বিএসসি (অনার্স) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে শুক্রবার সকালে ‘এ’ ইউনিট এবং বিকালে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শনিবার সকালে ‘সি’ ইউনিট ও বিকালে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৩জনকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে নয়জন শিক্ষার্থী ও চারজন সহযোগী রয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত জালিয়াত চক্রের প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫) পিতা- আফতাব উদ্দিন বাড়ি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার আলীপুর মহিষবের গ্রামে। এছাড়া এর সহযোগীরা হলো- ইসতিয়াক আহমেদ (২৭) পিতা-মৃত জাফর আলম বাড়ি কক্্রবাজার জেলার চকরিয়া থানার কাহারিয়া গ্রামে, মোস্তাফিজুর রহমান মিল্টন (২২) পিতা- নজরুল ইসলাম বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার সোনাইকাজী গ্রামে, মজনু রহমান (২৬) পিতা- জয়নাল আবেদীন বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার মধ্য কাশিপুর গ্রামে। আটককৃত শিক্ষার্থী নয়জন হলো- জুবায়ের আলম (১৯) পিতা- আলমগীর হোসেন বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার বাজারঘাটি গ্রামে, আবু জুবায়ের মামুন (২০) বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার মশিপুর গ্রামে, আমিনুল ইসলাম (২০) পিতা- আব্দুল মতিন বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানার কালমেঘা গ্রামে, রাফাত বিন রাশেদ (১৯) পিতা- রাশেদুল ইসলাম বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার গোবিন্দপুর গ্রামে, নাইবুর রহমান (২০) পিতা- বাবুল মিয়া বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার মালতি পশ্চিমপাড়া গ্রামে, প্রদীপ পাল (২০) পিতা- বাবুল পাল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুর গ্রামে আনসার একাডেমীর কাছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি ইলেক্ট্রনিক্্র ডিভাইস, ৯টি ডিভাইসের ব্যাটারী, ৭টি ইয়ার ফোন, স্কসটেপ, একটি পেন ডিভাইস, ডিভাইস ক্যাবল এবং একটি ডিভাইস পরিধানের হ্যান্ড গ্লোবস উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ ২৪টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার প্রতি আসনে ৮৮জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শেষ সময় পর্যন্ত চারটি ইউনিটের ১৫টি বিভাগে ৮১৫টি আসনের জন্য মোট ৭১ হাজার ২৭৬জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ‘এ’ ইউনিটে তিনটি বিভাগে ১৭০টি আসনের জন্য ২২ হাজার ৩৩৪ জন। ‘বি’ ইউনিটের ছয়টি বিভাগে ২৯৫টি আসনের জন্য ২৮ হাজার ২৮৮ জন। ‘সি’ ইউনিটের চারটি বিভাগে ২৩০টি আসনের জন্য ১৩ হাজার ৩৯১ জন এবং ‘ডি’ ইউনিটের দুটি বিভাগে ১২০টি আসনের জন্য ৭ হাজার ২৬৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। আটককৃতদের বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বিষয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাহিরে অভিযান চালিয়ে নয় শিক্ষার্থী ও চারজন সহযোগীকে আটক করা হয়। বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন বলেন, ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিসহ যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্তক রয়েছে।
×