ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দোকান নির্মান!

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ৮ ডিসেম্বর ২০১৭

নওগাঁয় বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দোকান নির্মান!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে স্কুলের প্রাচীর ভেঙ্গে দু’টি পাকা দোকান ঘর নির্মান করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা যোগসাজস করে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম সিরাজুল ইসলাম আনসারী স্কুলের প্রধান ফটকের ডান পাশে প্রাচীর ভেঙ্গে স্কুলের জমিতে দু’টি পাকা ইটের দোকান ঘর তৈরী করছেন। দোকানঘর দু’টি ইতোমধ্যেই স্থানীয় বিহারী গনি মিয়া ও আরমান হোসেনকে বরাদ্দ দিয়েছেন। তারা একটিতে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও অপরটিতে পান-বিড়ি, সিগারেট, লজেন্স, ড্রিংক্স ও জুসের দোকান করবে বলে প্রস্তুতি শুরু করেছে। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্কুলের গেটেই পান-সিগারেটের দোকানে কোমলমতি শিশুরা আকৃষ্ট হয়ে বিপথগামী হতে পারে। গ্যাস-সিলিন্ডারের দোকানে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে এর প্রভাব পড়বে স্কুল ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর। এছাড়া ওইসব দোকানে বিড়ি-সিগারেট কিনতে আসা বখাটেদের আড্ডস্থলে পরিনত হবে। স্কুলের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীরা সেখানে ইভটিজিংয়ের শিকার হতে পারে। এর পরেও স্কুলের সরকারী জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মান ও বরাদ্দ দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে শুক্রবার বিকেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ‘ আমি গাড়িতে’ বলে ফোন কেটে দেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম সিরাজুল ইসলাম জনকন্ঠকে জানান, স্কুলের পিয়ন ও আয়ার বেতন দিতেই দোকান ঘর দু’টি পাকা করে তৈরী করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তা ভাড়া দেয়াও হয়েছে। তবে আগেও সেখানে টিনের ঝুপড়ি ঘর ছিল। এব্যাপারে নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বদরুজ্জেহা জানান, স্কুল গেটের সঙ্গে বা স্কুলের জমিতে কোন দোকান ঘর তৈরীর কোন অনুমোদন নেই। শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করতে সেখানে কোনভাবেই দোকান ঘর নির্মান করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ওই স্কুলের নামসর্বস্ব ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম স্কুলের কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যত ও স্কুলের শিক্ষার পরিবেশের কথা না ভেবে অজ্ঞাত কারনে ২জন বিহারীকে দোকান ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। এতে স্কুলের জমিও বেদখল হতে সহায়তা করছেন তিনি। এবিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×