ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চার স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০২:০৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

চার স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের চারটি স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থলবন্দরগুলো হচ্ছে সিলেটের শেওলা, সাতক্ষীরার ভোমরা, যশোরের বেনাপোল ও খাগড়াছড়ির রামগড়। রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় এসব বন্দরের জন্য ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরে বাংলানগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এসময় ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির আওতায় মোট তিনটি কম্পোনেন্ট রয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগ পৃথকভাবে কম্পোনেন্টগুলো বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল হতে ব্যয় করা হবে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার, আর অবশিষ্ট অর্থায়ন হবে বিশ্বব্যাংকের তরফে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থলবন্দরগুলোর বাণিজ্যিক অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। এর ফলে প্রতিবেশি ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে। কম খরচে এবং কম সময়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক পরিবহন সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভোমরা স্থলবন্দরের ট্রাক ক্লিয়ারেন্স টাইম ৭২ ঘণ্টা থেকে কমে ১২ ঘণ্টায় নেমে আসবে। এ হিসেবে সময় ৮৩ শতাংশ কমে আসবে। অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দিকে এগুচ্ছি। এর ধারবাহিকতায় আমাদের রফতানি বাণিজ্যও বাড়ছে। গত ৫ বছরে আমাদের রফতানি বাণিজ্য এর আগের ১৭বছরের রফাতানির দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নত হলে ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। পাশাপাশি নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়বে। চিমিয়াও ফান বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলো বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে এ সম্ভাবনার অর্ধেকেরও কম ব্যবহার করতে পারছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক বাণিজ্যের মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ট্রান্সপোর্ট এবং ক্লিয়ারেন্স বিলম্ব। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পরিবহন যোগাযোগ উন্নত হবে ও বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়বে। ফলে কম সময়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
×