ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন প্রজন্মেও প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ‍॥ রেডি ফর টুমরো

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

নতুন প্রজন্মেও প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ‍॥ রেডি ফর টুমরো

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে দেশের তরুণ প্রজন্মকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের মেধাবী তরুণ প্রজন্মই আইসিটি সেক্টরকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল করার স্বপ্ন সার্থক করবে। নতুন প্রজন্মের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে- ‘রেডি ফর টুমরো’। আমরা আগামীর জন্য বাংলাদেশকে তৈরি করে যেতে চাই। একবার যেহেতু উন্নয়নের চাকা গতিশীল হয়েছে, সেটা আর কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি সেক্টরের মেগা ইভেন্ট চারদিনব্যাপী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। মানুষকে যে কথা দিয়েছি নির্বাচনী ইশতেহারে, আমরা তা রেখেছি। সুন্দর আগামীর জন্য তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলেছি। কাজেই সমগ্রবিশ্ব এখন তাদের হাতের মুঠোয় এবং আমি আশাকরি এই তরুণরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির জনকের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সার্থক করবে। পঁচাত্তরের পর স্বৈরশাসন এবং পরবর্তীতে জামায়াত-বিএনপির দুঃশাসনে দেশ পিছিয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছরের মধ্যে ৩০টি বছর আমাদের জীবন থেকে হেলায় হারিয়ে গেছে। দুর্ভাগ্য এই ৩০টি বছর যদি হারিয়ে না যেত, এই ৩০টি বছর যদি আমরা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতাম তবে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারত। তিনি বলেন, সময় অনেক চলে গেছে আর সময় আমরা নষ্ট করতে চাই না। শুধু বর্তমান না, ভবিষ্যতকে দেখতে হবে। আর কালক্ষেপণ যেন না হয় সেজন্য আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি। ‘ভিশন-২০২১’। অর্থাৎ ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সে সময়ে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ দেশ। আর ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হব, ইনশা আল্লাহ আমরা সেটা অর্জন করতে পারব, সে বিশ্বাস আমার আছে। কারণ, আমরা এখন যেটা করে যাচ্ছি- আমাদের আগামী প্রজন্মর জন্য। শুধু বর্তমান নয়, আমাদের ভবিষ্যতকে দেখতে হবে। শুধু আজকে নয়, আমরা আগামী দিনকে দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ এমপি এবং বেসিসের সভাপতি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আইসিটি খাতের অগ্রগতির ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধন ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে আমাদের সামনে এক নতুন শিল্প বিপ্লবের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই খাতে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৩৫ বছর বা তার নিচে। আমাদের এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের যুব সমাজকে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে প্রায় ৫০ হাজার ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে তোলা হচ্ছে রোবোটিক্স, বিগডেটা, ইন্টারনেট অব থিংস, ডেটা এনালিটিক্স ল্যাব। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় তথ্য-প্রযুক্তিখাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্রও তুলে ধরেন। বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দেশের মাত্র আট লাখ মানুষ ইন্টারনেট সেবা পেত, এখন তা বেড়ে আট কোটি হয়েছে। বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি বিভেদ থেকে দূরে রাখতে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো, অবকাঠামো উন্নয়নসহ নাগরিকদের হাতের মুঠোয় সরকারী সেবা পৌঁছে দেয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিবছর ১০ হাজার ¯স্নাতক বের হওয়ার কথা তুলে ধরে জাপানের ১০ হাজার এ্যাপার্টমেন্টকে স্মার্ট করার কাজ বাংলাদেশের তরুণদের দেয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষিত না হলেও আমাদের দেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে খুবই পারদর্শী। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ও আইটি সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের কোম্পানিগুলো এখন আফ্রিকাতেও পদচারণা করতে সক্ষম হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সফটওয়্যার রফতানি থেকে আয় এক বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালের আগেই পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী বাংলাদেশের কর্মবাজারে আসছে। তাদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরির পাশাপাশি নিজেরাও যেন তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা হতে পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশে ২৮টি হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ঢাকার কাওরান বাজার ও যশোরে সফটওয়্যার পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি ১২টি বেসরকারী সফটওয়্যার পার্কও গড়ে উঠেছে। এসব পার্কে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ১০ বছরের আয়কর মওকুফ ও শতভাগ রিপেট্রিয়েশনসহ বিবিধ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইসিটিকে সুযোগ দিলে ব্যাপক হারে রফতানি আয় আসবে। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং সাইট আপওয়ার্ক, ইল্যান্স এবং ফ্রিল্যান্সারের প্রথম দশটির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে আমরা রয়েছি দ্বিতীয় স্থানে। এ খাতে বাংলাদেশ এক নম্বর হবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিকাশে উদ্ভাবন সক্ষমতা ও গবেষণা একান্ত অপরিহার্য। আমরা আশা করছি, ২০২১ সাল নাগাদ আমাদের ২০ লাখ তরুণ-তরুণী তথ্য প্রযুক্তির পেশার সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি খাত ২০২১ সালনাগাদ দেশের দেশের উন্নয়নের সব থেকে বড় অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের জিডিপিকে ৭ দশমিক ২৮ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। রফতানিও আমাদের বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, আইসিটি সেক্টরটাকে যদি আমরা আরও সুযোগ দেই তাহলে এখান থেকেই আমাদের রফতানি আরও ব্যাপক হারে আসবে। আমাদের আর অন্য কোনদিকে তাকাতে হবে না এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট মেধাবী। তিনি বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য এই বছর থেকে রফতানিতে ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে সফ্টওয়্যার রফতানি থেকে আয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যে এ আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এবং জিডিপিতে সফ্টওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বানানো শুরু করেছি। এই খাতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে চলতি বছর থেকে আমরা ৯৪টি উপকরণের ওপর শুল্ক প্রতীকী ১ শতাংশ করে দিয়েছি। ফলে কেবল দেশীয় উদ্যোক্তারা নয়, বিশ্ববিখ্যাত নির্মাতারাও এখানে কারখানা তৈরিতে আগ্রহী হবে। ইতিমধ্যে স্যামসং-এর মতো কোম্পানি ঢাকার অদূরে কারখানা স্থাপন করেছে। এ খাতে বিনিয়োগকারীকে আমরা সর্বোতভাবে সহায়তা দেয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সংযোগ ও বেসরকারী খাতে ৬টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবলের সুবিধা দিয়েছি। যার ফলে দেশব্যাপী ১০ গুণেরও বেশি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বেড়েছে। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানিও হচ্ছে । যে ব্যান্ডউইথের দাম ২০০৭ সালে ছিল ৭৬ হাজার টাকা তা এখন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে ই-গবর্নেন্স, ই-হেলথ, ই-কমার্স, ই-লার্নি, মোবাইল এপ্লিকেশনসহ ইন্টারনেটের বহুবিধ ব্যবহার সহজলভ্য হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে ফোর জি (৪এ) প্রযুক্তি চালু কর করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিকাশে উদ্ভাবন সক্ষমতা ও গবেষণার কোন বিকল্প। এ জন্য আইসিটি বিভাগের আওতায় গবেষণা ফেলোশীপ, বৃত্তি প্রদান এবং উদ্ভাবন কাজের জন্য অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ‘ইনোভেশন ডিজাইন এ্যান্ড এন্টারপ্রেণারশীপ একাডেমি’ স্থাপন এবং গড়ে তোলা হয়েছে নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ঋণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ইই ফান্ড’র ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আমাদের তরুণদের সক্ষমতা আজ বিশ্বজুড়ে নজরও কাড়ছে। এই খাতটিকে আরও যোগ্য করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। অর্থাৎ বাংলাদেশ আর কারও কাছে হাত পেতে চলবে না, ভিক্ষা করে চলবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মাথা উঁচু করে চলবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের প্রতিপাদ্য ‘রেডি ফর টুমরো’র সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নট টুডে ফর টুমরো, আমরা বাংলাদেশকে তৈরি করতে চাই। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কিভাবে তৈরি হবে সেটাই আমরা দেখতে চাই, সেভাবেই আমরা করতে চাই।’ তিনি বলেন, হয়তো আমরা দেখেও যেতে পারব না, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস-একবার যখন উন্নয়নের চাকা গতিশীল হয়েছে এটা ভবিষ্যতে আর কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। এটা আমার বিশ্বাস। সেটাই আমরা আগামী প্রজন্মর হাতে তুলে দিয়ে যেতে চাই। সব সময় আমাদের তৈরি থাকতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানান, ‘রেডি ফর টুমরো’। রোবট সোফিয়াকে নাতি-পুতির সমতুল্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, শুধু ছেলেমেয়ে না, এখন নাতি-নাতনিদের সময়। এখন বলব, এখন নাতি পুতিদের সময়।’ তিনি বলেন, দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। এক সময় দেশে একটি মাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল। মোবাইল ফোনের দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেই ফোন ধরলেও ১০, করলেও ১০ টাকা। ঢাকা আর চট্টগ্রামে এনালগ ফোন ছিল। অন্য কোন বিভাগে তাও ছিল না। আমি এসে এগুলো ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেই। সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারীখাতে মোবাইল ব্যবসা সার্বজনীন করি। আমরা ব্যান্ড উইথের দাম কমিয়ে ডিজিটাল বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়েছি। এখন গরু পর্যন্ত অনলাইনে বিক্রি হয়। বুধবার থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে এবার চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়া মানবীর আদলে তৈরি রোবট সোফিয়া। তথ্য-প্রযুক্তি খাতের কয়েকটি সংগঠনের সহযোগিতায় সরকারের আইসিটি বিভাগ ও বেসিস ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭-এর আয়োজন করেছে, যার প্রতিপাদ্য ‘রেডি ফর টুমরো’। এ খাতে গত নয় বছরে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে এ আয়োজনে। সেই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচনও আয়োজকদের লক্ষ্য। মেলায় আয়োজনে সফটওয়্যার শোকেসিং, ই-গবর্নেন্স এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন, ই-কমার্স এক্সপো, স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ জোন ছাড়াও আইসিটি সংশ্লিষ্ট ২৯টি সেমিনার, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স কনফারেন্স, গেমিং কনফারেন্স, আইসিটি এডুকেশন কনফারেন্স হবে। ফিলিপিন্স, মালদ্বীপ, সৌদি আরব, কম্বোডিয়া ও নাইজেরিয়ার মন্ত্রীরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
×