ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত থেকে আরো দেড় লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০২:১০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ভারত থেকে আরো দেড় লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খাদ্য ঘাটতি পূরণে সরকারী পর্যায়ে ভারত থেকে আরো দেড় লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই চাল আমদানি করতে প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৪০ ডলার। এ হিসেবে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৫৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চালের পাশাপাশি ৫০ হাজার টন গম আমদানিসহ ৮টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে প্রতি টন চালের দাম ৪৪০ ডলাওে দেড় লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৫৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সরকারী প্রতিষ্ঠান নাফিড লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে। ঋণপত্র খোলার ৬০ দিনের মধ্যে সব চাল সরবরাহ করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি। ঋণপত্র পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ১৫ হাজার টন চালের প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে। ভারতকে ২০১৭ সালে উৎপাদিত চাল সরবরাহ করতে হবে। আর এই চালে ৫ শতাংশ ভাঙা দানাসহ অন্যান্য প্যারামিটারে বাংলাদেশ কোনো ছাড় না দেয়ায় চালের দাম একটু বেশি পড়ছে বলে একজন কর্মকর্তা জানান। প্রসঙ্গত, চালের সরকারী মজুদ নেমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ টন চাল এবং পাঁচ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়াও কয়েকটি দেশ থেকে সরকারীভাবে ধাপে ধাপে গম ও চাল আমদানি করা হবে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ভারত থেকে ১ লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে অপর এক প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন গম আমাদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটন গমের দাম ২৪৫ দশমিক ৩৫ ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন গম আমদানিতে মোট খরচ হবে ১০১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। মেসার্স সিংসং নামের একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ গম সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, ‘কুমার নদ পুনঃখনন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১টি ৬-ভেন্ট রেগুলেটর, ৪৪ দশমিক ৩৯৭ কিলোমিটার মরা কুমার নদ, ৯ দশমিক শূণ্য ৯৫ কিলোমিটার মান্দারতলা খাল পুনঃখনন এবং আরসিসি পাকা ঘাট ও মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের ঘর নির্মান কাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর আওতায় ‘রূপকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘মাদারগঞ্জ-১’ কূপ এলাকায় যাওয়ার জন্য নতুন রাস্তা নির্মানসহ বিদ্যমান সংযোগ রাস্তা মজবুত ও উন্নয়ন কাজ সংক্ষিপ্ত সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মেসার্স অন্বেষা লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে আর এ জন্য ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এছাড়াও বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরো তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
×