ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জবির পাঠ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আবশ্যিক কোর্স চালু

প্রকাশিত: ০১:৪২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

জবির পাঠ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আবশ্যিক কোর্স চালু

জবি সংবাদদাতা ॥ জঙ্গীবাদ উত্থান রোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রতিরোধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) তার সকল অনুষদের বিভাগসমূহে আবশ্যিক কোর্স হিসেবে চালু করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এ ক্ষেত্রে দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কোর্সটি চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করবে জবি। এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সভাকক্ষে জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা (পিআরও) দপ্তরের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ইতিহাস চর্চা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল। ৫২’, ৬৯’, ৭১’-এর বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক আন্দোলনের ইতিহাসকে মুছে ফেলার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা সক্রিয়। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস কখনও মুছে ফেলা যায় না আর যাবেও না। তিনি আরো বলেন, অগ্রসরমান প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় যারা সবসময় বিরোধিতা করেছিল, তারাই ৭৫’-এ নির্মম হত্যাকা- ঘটিয়েছিল। বাঙালি জাতির ইতিহাসকে বদলে দিতেই সেই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। এই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে এবং নিজেদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। পিআরও পরিচালক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস-এর সঞ্চালনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ জাকারিয়া মিয়া, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুর্য বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জঙ্গীবাদ উত্থান রোধে, সত্যিকারের দেশ প্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বিষয়ে পাঠদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪০-তম সভায় এবং ৭৪-তম সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের কারিকুলামে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
×