ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে দশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে দোকানি উধাও , পথে বসেছে একটি পরিবার

প্রকাশিত: ০০:২১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

কক্সবাজারে দশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে দোকানি উধাও , পথে বসেছে একটি পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ গরীব অসহায় এক পরিবারের সাড়ে দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কক্সবাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী। বোনের বিয়েরজন্য কষ্টের জমানো টাকা হারিয়ে পথে বসেছেন রাশেদ ও তার পরিবার। প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানা ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন হতভাগা রাশেদ। এ ঘটনাকে ঘিরে শহরের প্রাণকেন্দ্র পশ্চিম নতুন বাহারছড়া এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মডেল থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম নতুন বাহারছড়া পৌর এলাকায় বসবাসকারী মৃত বজল আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন মুদি ও বিকাশ এজেন্ট হিসেবে দোকান করে আসছিল। স্থানীয় আবু তাহেরের পুত্র মোহাম্মদ রাশেদের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নগদ ধার নেন। বিশ্বাস সরূপ জসিম উদ্দিন তার মার্কেন্টাইল ব্যাংক কক্সবাজার শাখার তিন লাখ টাকা করে দু’টি চেক প্রদান করেন। দীর্ঘদিন টাকা পরিশোধ না করায় চেক নিয়ে ব্যাংকে যান রাশেদ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই একাউন্টে টাকা নেই বলে জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, রাশেদের মায়ের জায়গা বিক্রির সাড়ে চার লাখ টাকা ইসলামী ব্যাংকে কক্সবাজার শাখায় তার নামে এফডিআর করার পরামর্শ দেন। এতে রাশেদ রাজী না হলে পরে রাশেদের নামেই ব্যাংকে এফডিআর করে সাড়ে চার লাখ টাকা। এসময় সুচতুর জসিম উদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের লোন সেকশনের কর্মকর্তা শাহ আলম রাশেদকে দেয়া এফডিআর এর মূল কপি তার হাতে রেখে রাশেদকে ফটোকপি ধরিয়ে দেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই রাশেদের মোবাইলে ফোন আসে ব্যাংকের লোনের টাকা পরিশোধের জন্য। এতে হতভম্ব হয়ে পড়ে রাশেদ। ব্যাংকে এসে দেখতে পান তার নামে এফডিআরের বিপরীতে পরদিন চার লাখ টাকা লোন নেয়া হয়েছে। লোনের কথা সে অস্বীকার করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার কাগজ পত্র দেখাতে বাধ্য হন। রাশেদ এফডিআর করার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে ৫-৬টি কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, পড়ালেখা না জানায় আমি প্রতারণার শিকার। জসিম যেখানে স্বাক্ষর করতে বলেছেন, আমি সেখানে স্বাক্ষর করি, তবে কেন তা কিছুই জানিনা।
×