ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতার কারণে ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দলিল

প্রকাশিত: ০২:০৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতার কারণে ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দলিল

জবি সংবাদদাতা ॥ বঙ্গবন্ধু শুধু রাজনীতি নয় ইতিহাস বিষয়েও অভিজ্ঞ ছিলেন। তাঁর বক্তব্যের দূরদর্শীতার কারণে ৭ই মার্চ ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দলিল হিসেবে গৃহীত হয়েছে। বাঙালির ইতিহাস রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। তাঁর ভাষণের এই এক লাইনের মধ্যেই বিবৃত হয়েছে বাঙালি জাতির পুরো ইতিহাস। মঙ্গলবার জবিতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কের ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ ঘোষণা ও মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে শুধুমাত্র মুক্তিকামী মানুষের কথাই উল্লেখ ছিল না, সারা বিশ্বে যেখানে যেখানে নিপীড়ন, শোষন, বঞ্চনা চলছে-তাদের জন্য এখনও প্রাসঙ্গিক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। পৃথিবীর কোন সংঘর্ষ আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা-এটাও তাঁর ভাষণের একটি শিক্ষা। প্রত্যেক দেশেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভাষণে বলেছেন, সেই সংখ্যালঘুদের দায়িত্ব সংখা গরিষ্ঠদের নিতে। আজকের দিনেও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ চিরভাস্মর হয়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত ৭ই মার্চ ভাষণ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে তাই আরো বেশি গবেষণা প্রয়োজন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি ঋত্বিক রায়-এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সাংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথী আতাউর রহমান এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সদস্য ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টা ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংস্কৃতি স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম তুর্য, সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদীন রাসেল। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্যে ছিল একক ও দলীয় নৃত্য, গান, অভিনয় ও আবৃত্তি পরিবেশনা। এছাড়া অঞ্জনা সুলতানা দুটি গান পরিবেশন করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×