ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন প্রতিবন্ধী যুবক

প্রকাশিত: ০১:১৭, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন প্রতিবন্ধী যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের মহানুভবতার কারণে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন চল্লিশর্ধো প্রতিবন্ধী ফরিদ উদ্দিন মৃধা। তার বাবার নাম আবদুল মজিদ মৃধা। সদর উপজেলার কায়না গ্রামে তার বাড়ি। ফরিদ জানায়, যখন তার বয়স পাঁচ বছর, তখন জ¦র হয়ে তার দুই পা চিকন হয়ে যায়। এ কারণে তিনি হাটতে পারতেননা । দুই হাত দিয়ে মাটিতে ভর করে চলতে হতে থাকে। এ ভাবে দীর্ঘ ৩৫ বছর জীবনের সাথে যুদ্ধ করে কোন রকম বেঁচে থাকলেও বর্তমানে জীবন যুদ্ধে পরাস্ত হচ্ছিলেন তিনি। বাবা বেঁেচ থাকতে খাবার চিন্তা করতে হতো না থাকে। বাবা মারা যাওয়ার পরে ষাটার্ধো বৃদ্ধ মাকে নিয়ে তিনি বিপদগ্রস্থ হয়ে পরেন। দু’মুঠো খাবার জন্য ইট ভাঙ্গার কাজ নেন তিনি। এতে কোন রকম চলছিল মা ও ছেলের। কিন্তু বর্তমানে তার শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় হতাশ হয়ে পরেন তিনি । কাজ করতে পারছিলেননা। তাই বৃদ্ধ মাকে নিয়ে তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন ক্রমশ ধুসর হয়ে যাচ্ছিল। কয়েক দিন আগে এলাকার চৌকিদার মারফৎ ইউএনও তাকে অফিসে দেখা করতে বলেন। সেই অনুযায়ি তিনি মঙ্গলবার সকালে ইউএনওর সাথে তার অফিসে দেখা করেন। ইউএনও তার হাতে কিছু টাকা তুলে দেন। ওই টাকা দিয়ে তাকে একটি চা-পানের দোকান দেয়ার জন্য বলেন। এরপরই তিনি নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। দোকানের বেচাকেনার টাকা দিয়ে তিনি বৃদ্ধ মায়ের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে পারবেন । এই ভেবে তিনি এখন আনন্দিত। ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে অমি শারিরীক প্রতিবন্ধী ফরিদের দুরাবস্থার কথা জানতে পারি। এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম ফরিদ ও তার বৃদ্ধ মায়ের বেঁচে থাকার জন্য কিছু একটা করা উচিৎ। এলাকার চৌকিদারের মাধ্যমে ফরিদকে আমার অফিসে আসার জন্য খবর পাঠালাম। একটি চা-পানের দোকান দিতে কিছু টাকা তার হাতে তুলে দিলাম। তিনি আরও বলেন, চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপির তহবিল থেকে ফরিদকে এক ব্যান্ডেল ডেউ টিন ও ৩ হাজার টাকা দেয়া প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আশা করছি ফরিদ দ্রুত তা পেয়ে যাবেন। ফরিদকে এতটুকু সহযোগিতা দিতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত হয়েছি।
×