ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইভানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৭ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

ইভানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৭ ডিসেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বনানীতে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন আবারও পিছিয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী নতুন করে এ দিন ধার্য করেন। গত ৪ জুলাই রাতে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে বনানীর বাসায় ইভান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন এক তরুণী। পরদিন ৫ জুলাই বনানী থানায় বাহাউদ্দিন ইভানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন তিনি। ৬ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ইভানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন ৭ জুলাই ইভানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ জুলাই ইভান ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১১ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভানের সঙ্গে তার (তরুণীর) বন্ধুত্ব হয়। এর সূত্র ধরে তারা দেখা-সাক্ষাৎ ও ঘোরাঘুরি করতেন। চার মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন রাত ৯টায় ইভান ফোন করে ওই তরুণীকে জন্মদিনের কথা বলে বাসায় যেতে বলেন এবং তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন বলে জানান। তবে ওই তরুণী বাসায় গিয়ে কাউকে দেখেননি। জানতে চাইলে ইভান জানান, তার বাবা-মা অসুস্থ। তাই ঘুমিয়ে আছেন। জোরে কথা বলা যাবে না। এজাহারে আরও বলা হয়, বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কোনো আলামত দেখিনি ওই তরুণী। সে বাসায় ফিরে আসতে দেয়নি। রাতে খাবার খাওয়ায় এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। নিষেধ করলেও একদিন খেলে কিছু হবে না মর্মে জানায় ইভান। এরপর রাত দেড়টায় ইভান তাকে ধর্ষণ করে বলে তরুণী এজাহারে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, আমি চিৎকার করতে থাকলে সে রাত সাড়ে ৩টায় আমার ব্যাগ রেখে বাসা থেকে বের করে দেয়। তরুণীর ভাষ্য, ব্যাগে তিনটা ড্রেস, দুটি জিন্স, একটা কুর্তা, তিনটি মোবাইল, চার্জার, সিম কার্ড, মেমোরি কার্ড ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিল। বাসা থেকে রাতে বের করে দেয়ার পর পথচারী এক ভদ্রলোকের সহায়তায় তিনি বাসায় ফেরেন। তরুণী আরও বলেন, আসামি (ইভান) আমাকে এর আগেও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। আমাকে ভয় দেখায়, মুখ খুললে তার কাছে থাকা খারাপ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে। কিছুটা সুস্থ হয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলায় এজাহার দিতে দেরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
×