ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলার প্রধান স্বাক্ষীকে মারপিঠ

প্রকাশিত: ০২:৪৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলার প্রধান স্বাক্ষীকে মারপিঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরের গৌরিঘোনা গ্রামের নওশের আলী খান হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী নেপাল চন্দ্র হোড়কে (৭৩) মারপিঠ করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন নওশের আলী হত্যার নেপাল চন্দ্র জবানবন্ধী দেয়ায় তাকে মারপিট করা হয়েছে। গৌরিঘোনা গ্রামের শহিদুল ইসলাম সরদার রবিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে মারপিট করে আহত করে। পুলিশ শহিদুল ইসলাম সরদারকে আটক করে সোমবার জেলে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দীন (পিপিএম বার, পিপি সেবা) গত ২২ নভেম্বর নওশের আলী খান হত্যা মামলার তদন্তে কেশবপুরে আসেন। ওই দিন তিনি গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদে নওশের আলী খান হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী নেপাল চন্দ্র হোড়সহ অন্যান্য স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহন করেন। এ কারনে রবিবার রাতে গৌরিঘোনা গ্রামের মৃত কাছেম আলী সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম সরদার নেপাল চন্দ্রের বাড়ী থেকে ধরে এনে মারপিট করে। এ ব্যাপারে নেপাল চন্দ্র হোড় উর্ধতন প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলে ভেরচী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মনজুর আলম অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সরদারকে আটক করে সোমবার কেশবপুর থানায় প্রেরণ করেন। নওশের আলী খান হত্যা মামলার স্বাক্ষী হওয়ার কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। নেপাল চন্দ্র হোড় গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সাম্পাদক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের গৌরীঘোনা ইউনিয়নের সভাপতি। এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সাম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মিলন মিত্র এক বিবৃতিতে নেপাল চন্দ্র হোড়ের ওপর হামলা, মারপিটের নিন্দা ও যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মে মাসে পার্শ^বর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের রাজাকারের একটি দল গৌরিঘোনা গ্রামের কাপালী পাড়ায় ঘরবাড়ীতে অগ্নি সংযোগ ও অর্থ সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় রাজাকারদের মুখোমুখি হলে তারা মালামাল ফিরিয়ে দেবার কথা বলে নওশের আলী খানকে ডেকে নিয়ে রানায় গ্রামে বকুল তলায় নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বে) শাহজাহান আহম্মেদ জানান, স্বাক্ষীকে মারপিট করা হয়েছে কিনা জানা নেই তবে শহিদুল ইসলাম সরদারকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
×