ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর সীমানা পিলারের অভ্যন্তরের প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় একটি সীমানা পিলার পুন:স্থাপন করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় শ্রমিকলীগের এক নেতা উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দেয়। পরে ম্যাপ দেখে ওই নেতা অবৈধ স্থাপনার আশিংক ভেঙ্গে দেয় হয় । উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ অগ্রণী, একটি এক্সাভেটর (ভেকু), একটি টাগবোটসহ বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদ কর্মী, পুলিশ, আনসার ও ডিপিডিসির কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা বানু শান্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোঃ গুলজার আলী, উপ-পরিচালক মোঃ শহিদুল্লাসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃংখলা বহিনীর সদস্যরা। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্মপরিচালক গুলজার আলী জানান, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে শীতলক্ষ্যার শাখা নদীতে অবৈধভাবে জেটি স্থাপন করেছিল শারমিন জুট বেলার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই জেটিটিসহ কয়েকটি জেটিও উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়াও অবৈধভাবে দখল করা পাকা, সেমি পাকা ও কাচা অস্থায়ী স্থাপনাগুলোও ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া নদীর উপরে অবস্থিত দারুল ফালাহ হোসাইনিয়া মাদরাসা নামের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়া হয়। এদিকে আলামিননগর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার মালিকানাধীন একটি প্লাস্টিকের সুতা তৈরীর কারখানার ভেতরে সীমানা পিলার পুনঃস্থাপন করতে গেলে তাতে বাধা দেন সাবেক কাউন্সিলর মুন্না ও তার লোকজন। এসময় মুন্নার সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাকবিতন্ডায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা করে সিএস ম্যাপ দেখে সিদ্ধান্ত হয় দুই পক্ষের যৌথ সার্ভের পরে সীমানা পিলার পুনঃস্থাপন করা হবে। পরে ওই স্থাপনা একটি অংশ গুড়িয়ে দেয় উচ্ছেদকারি দল। এসময় সাবেক কাউন্সিলর মুন্না সাংবাদিকদের বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি রাস্তা এবং নদীর জন্য আমাকে আরো ১০০ ফুটও ছাড়তে হয় তাতে আমি রাজি আছি। কিন্তু যৌথ সার্ভে না করে আমার জমিতে সীমানা পিলার পুনঃস্থাপন করার বিষয়ে আমার আপত্তি রয়েছে। এজন্যই আমি সীমানা পিলার পুনঃস্থাপনে বাধা দিয়েছি। তবে পূর্বে স্থাপনকৃত সীমানা পিলারের ভেতরে আমার স্থাপনা যতটুকু রয়েছে সেটা আমি নিজেই ভেঙ্গে দিচ্ছি। পরে সাবেক কাউন্সিলর মুন্না নিজেই দাড়িয়ে থেকে তার স্থাপনার বর্ধিত একটি দেয়াল ভেঙ্গে দেন।
×