সব মানুষের স্রোত মিলেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ লাল, সবুজ, সাদা নানা রঙ-বেরঙের পোশাকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে ছুটছে মানুষ আর মানুষ। দুপুরের মধ্যেই মানুষে মানুষে কাঁনায় কাঁনায় পূর্ণ উদ্যান। শিশু থেকে বৃদ্ধ, তরুণ-তরুণী, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের স্রোত এসে মিলিত হচ্ছে এক ইতিহাসের পটভূমিতে। তাদের পদচারণায় এখন সরগরম উদ্যানের আশেপাশের এলাকা। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে আসছেন শোভাযাত্রায়। শাহবাগ চত্বর থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ছবির হাট, দোয়েল চত্বর, তিন নেতার মাজার, বাংলা একাডেমির সামনের গেট, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শিশুপার্ক, টিএসসি, প্রেসক্লাব, রমনা পার্ক, মৎস্যভবন এলাকা লোকে লোকারণ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারের’ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভ করায় এই অসামান্য অর্জনকে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপন করা হচ্ছে আজ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও জড়ো হচ্ছেন সেখানে। শোভাযাত্রায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিককর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভারের সদস্যদের অংশ নিতে দেখা গেছে। রাস্তার দুই পাশে ফেস্টুন, ব্যানার, ও জাতীয় পতাকা হাতে আগতদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া বাস ও ট্রাক ফুল-ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাজধানীর রাস্তাজুড়ে শোভা পাচ্ছে জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ছোট বড় তোরণ ও বিলবোর্ড। রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি কলাবাগান, সাইন্সল্যাব, কাঁটাবন হয়ে শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছবির হাট গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে। বেলা ১২টার দিকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছায়। ঢাকার বাইরে সব জেলা ও উপজেলায়ও একই ধরনের আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন হয়েছে। সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে জেলা-উপজেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী সভা। উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সে উপলক্ষে এ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন।