ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বজ্রকণ্ঠের বিশ্ব স্বীকৃতিতে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

বজ্রকণ্ঠের বিশ্ব স্বীকৃতিতে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপনে আয়োজিত ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়েছে। শোভাযাত্রার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ ছাড়া সব মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এতে অংশ নিয়েছেন। আনন্দ শোভাযাত্রায় আরো উপস্থিত রয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ। শোভাযাত্রায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভার, পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়া, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত বাদক দল, সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি এবং সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিয়েছেন। শোভাযাত্রাটি কলাবাগান-সায়েন্সল্যাব হয়ে শাহবাগ গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে। পরে বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ভাষণটি বাজানো হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শোর মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রার এই সমাবেশ। প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেসকো) ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে (ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) বিশ্বে প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্যারিসে ইউনেসকোর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বুকোভা এই ঘোষণা দেন। বর্তমানে ম্যামোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে সব মহাদেশগুলো থেকে ৪২৭টি প্রামাণ্য দলিল ও সংগ্রহ তালিকাভুক্ত রয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ২৫ নভেম্বর এই স্বীকৃতি উদযাপনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব সম্পর্কে দেশের জনগণ বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবহিত করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতি উদযাপনের আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদযাপন করা হয়। এ ছাড়া নাগরিক কমিটির ব্যানারে ১৮ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ আয়োজিত হয়।
×