ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্মিথ-মার্শের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

স্মিথ-মার্শের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত তিনদশকে গ্যাবায় (ব্রিসবেনে) জয় নেই ইংল্যান্ডের। এখানকার সবুজ গালিচা মানেই অস্ট্রেলীয় পেসারদের দাপট। সাফল্যের পর সাফল্যে মোড়ানো সব স্মৃতি। এবারের এ্যাশেজের আগে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জানিয়েছিলেন, সিরিজটা গ্যাবায় শুরু হচ্ছে বলে তার দল আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। প্রথম টেস্ট জয় যে কোন লড়াইয়ে টনিক হিসেবে কাজ করে। পয়মন্ত সেই ভেন্যুতেই খুব একটা স্বস্তিতে নেই অসিরা! প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩০২/১০-এর জবাবে ৭৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল স্বাগতিকরা। বিপদের মাঝে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন স্মিথ। ওই ৪ উইকেটেই ১৬৫ রান নিয়ে দ্বিতীয়দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৬৪ রানে অপরাজিত অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট শন মার্শ (৪৪*)। বলতে গেলে অসিদের ম্যাচে ফিরিয়েছেন দু’জনে। আজ তৃতীয়দিনের নৈপুণ্যই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। দিনের প্রথম সেশনে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেয়া অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভাল হয়নি। টেস্ট অভিষেকে ক্যামেরন ব্যানক্রফট ফেরেন মাত্র ৫ রান করে। স্টুয়ার্ট ব্রডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। সম্প্রতি এশিয়ায় (বাংলাদেশ ও ভারত সফরে) স্পিনের বিপক্ষে ভোগা উসমান খাজা দেশের মাটিতেও স্পিনের বিপক্ষে স্বচ্ছন্দ নন। মঈন আলীর সোজা বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তার নামের পাশে ১১। জ্যাক বলকে পুল করার চেষ্টায় শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দেন স্বাগতিকদের ব্যাটিং ভরসা ডেভিড ওয়ার্নার। অথচ দুই চারে ২৬ রান করে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ৩ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় সেশনের শুরুতে কোন রান যোগ করার আগেই হারায় পিটার হ্যান্ডসকম্বকে। উপমহাদেশে ভাল করা প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। দ্বিতীয়দিনে সেটাই ইংলিশ বোলারদের শেষ সাফল্য। বাকি ৩৭.১ ওভার কোন ক্ষতি ছাড়াই কাটিয়ে দেন স্মিথ, মার্শ। ইংলিশদের ফাঁদে পা দেননি দুই ব্যাটসম্যান। নেননি তেমন কোন ঝুঁকি। বিপদের মাঝে যতটা সম্ভব সোজা ব্যাটে খেলছেন দু’জনে। এর আগে ৪ উইকেটে ১৯৬ রান নিয়ে শুরু করা ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ঘণ্টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন ডাভিড মালান ও মঈন (৩৮)। পানি পানের বিরতির আগেই হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান মালান। মালান-মঈনের ৮৩ রানের জুটিতে এক সময়ে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ২৪৬ রান। সেখান থেকে অতিথিদের ৩০২ রানে গুটিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লিয়নরা। ইংলিশদের ইনিংসের ধসের সূচনা মালানের বিদায় দিয়ে। স্টার্ককে পুল করতে গিয়ে মার্শকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ১১টি চারে ৫৬ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার স্টার্ক ও কামিন্স। দুটি উইকেট অফ স্পিনার নাথান লিয়নের। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৩০২/১০ (১১৬.৪ ওভার; কুক ২, স্টোনম্যান ৫৩, ভিঞ্চ ৮৩, রুট ১৫, মালান ৫৬, মঈন ৩৮, বেয়ারস্টো ৯, ওকস ০, ব্রড ২০, বল ১৪, এ্যান্ডারসন ৫*; স্টার্ক ৩/৭৭, হ্যাজেলউড ১/৫৭, কামিন্স ৩/৮৫, লেয়ন ২/৭৮)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ১৬৫/৪ (৬২ ওভার; ব্যানক্রফট ৫, ওয়ার্নার ২৬, খাজা ১১, স্মিথ ৬৪*, হ্যান্ডসকম্ব ১৪, মার্শ ৪৪*; এ্যান্ডারসন ১/২৬, ব্রড ১/১৮, মঈন ১/৫০, ওকস ০/৩১, বল ১/৩৫, রুট ০/৫)। ** দ্বিতীয়দিন শেষে
×