১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাহাদুর শাহ পার্ক নাটোর শহরের পিলখানা রোডে লালদীঘির পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত। তবে আক্ষরিক অর্থেই এটি কোন পার্ক নয়, যেন পার্কিং। এই এলাকা স্বর্ণপট্টি নামেও বেশ পরিচিত। আর জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি বাইরের অনেকেরই মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের অন্যতম জায়গার নাম বাহাদুর শাহ পার্ক। পৌর কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পৌরসভার রাজস্ব বৃদ্ধি ও এলাকায় সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ বাহাদুর শাহ পার্কটিকে একটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়। এ ঘটনায় বাধা সৃষ্টি করে নিজ নিজ ফায়দা লুটে নেয়ার চেষ্টা করছেন অনেকেই বলে জানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি।
নাটোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯৯ সালে এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম নাটোর পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাহাদুর শাহ পার্কে একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়। বাহাদুর শাহ পার্কটি মূলত স্বর্ণ পট্টির পেটের ভেতরে হওয়ায় এটা পার্ক নয়, বরং মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার লক্ষণীয়। শুধু তাই নয়, পার্কের মধ্যে রয়েছে ১৪টি পান, সিগারেট ও চায়ের দোকান। আর পার্কের জায়গাজুড়ে দেখা যায় সারি সারি মোটরসাইকেল। এ ছাড়া স্বর্ণ পট্টির বিষাক্ত এসিডের ব্যবহার এখানকার পরিবেশ সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই নেমে এই পার্কটি হয়ে ওঠে মাদকসেবীদের রমরমা আখড়া। বাইরের মাদকসেবী ছাড়াও এখানকার স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই বিভিন্ন রকমের মাদক গ্রহণ করে থাকেন। এত ছোট জায়গাতে যেখানে মানুষ চলাচল, বসতেই পারে না সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ পার্ক তৈরি রীতিমতো দুঃসাধ্য। পার্কটি স্বাভাবিকভাবেই একটি অনিরাপদ এলাকা হিসেবে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
-কালিদাস রায়, নাটোর থেকে