ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নেত্রী হত্যা ॥ সেদিন কারা ফোন করেছিল স্বপ্নাকে

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

আওয়ামী লীগ নেত্রী হত্যা ॥ সেদিন কারা ফোন করেছিল স্বপ্নাকে

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ নবীনগরে চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার খুনের ঘটনায় এখনও কোন ক্লু পায়নি পুলিশ। ৩ দিনে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কিলিং মিশনে কত জন ছিল তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। নিহত স্বপ্নার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি এখন তদন্তের অন্যতম ভরসা বলে সূত্র জানিয়েছে। আর এ কারণেই প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত চালানো হচ্ছে। বুধবার রাত পৌনে ৯টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা স্বপ্না আক্তার সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। এতে দলীয় কোন্দল ও স্থানীয় বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়। নিহতের স্বজনরা অবশ্য জোড়ালোভাবেই বলছে, যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও বিএনপি এ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা একাধিক নেতাকর্মীর নামও পুলিশের কাছে দিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় হত্যাকা-ের আগে স্বপ্নার ব্যবহৃত মোবাইলে কারা বার বার ফোন করেছিল, কি তাদের পরিচয় এসব নিয়ে তদন্ত চলছে। ভাড়াটে খুনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে? না কি স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে? এ তথ্য এখনও বের করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার রাতে দলীয় কর্মকা- চলানোর সময়ে স্বপ্নার কাছে বেশ কিছু ফোন আসে। স্বপ্না তখন মোবাইলে জানায় তিনি সভাস্থলে আছেন। এর কিছুক্ষণ পরপর তার উপস্থিতি কোথায় তা জানতে চাওয়া হয়। সূত্র বলছে, খুনীরা আগে থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। সভার কাজ শেষ করে তিনি যখন চলে যান। তখন সিএনজি স্টেশনের একটি সিএনজিতে ২ জন লোক বসে তাকে দ্রুত আসার জন্য বলে। এরপর নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অনেকটা চলন্ত ঐ সিএনজিতে উঠে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে হত্যার ঘটনা ঘটে। অনুসন্ধানকালে সূত্র জানায়, ঘটনার দিন দুপুর বেলায় স্বপ্না আক্তার নবীনগর সদরে এসেছিলেন। এ সময় অনেকের সঙ্গেই তার সাক্ষাত হয়। কিন্তু রাতে যখন দলীয় কর্মকা- শেষে বাড়ির পথে রওনা হন তখন তার সঙ্গে কেউই ছিল না।
×