ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কেই কাঁচা বাজার ও আড়ত ॥ জনদুর্ভোগের শেষ নেই

প্রকাশিত: ০০:৩০, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কেই কাঁচা বাজার ও আড়ত ॥ জনদুর্ভোগের শেষ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ সদর উপজেলার সাথে চারটি উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এবং তার ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা কাঁচা বাজারের কারণে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। সবাই দেখেন তারপরেও কারই কোন প্রতিক্রিয়া নেই এ ব্যাপারে। ঠাকুরগাঁও মূল শহর থেকে একটু দুরে পশ্চিমে পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়কটির গোবিন্দনগর এলাকায় কেন্দ্রীয় আখচাষী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনায় “ সমবায় কাঁচা বাজার” নামে একটি বাজার চালু হয় বছর দশেক আগে। কাঁচা বাজার সাইনবোর্ড থাকলেও মুলতঃ এটি কাঁচা মালের আড়ত হিসেবেই পরিচিত। এ আড়তকে কেন্দ্র করেই প্রতিদিন বসে কাঁচা বাজার। আড়তদার, ক্রেতা বিক্রেতা, যানবাহন সব মিলিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এখানে এক দুঃসহ যানজট লেগেই থাকে। মূল সড়ক এবং ফুটপাত দখল করে নানা প্রকার শাক সবজির পসরা সাজিয়ে দোকান বসায় খুচরা বিক্রেতারা। দামে কিছু কম পাওয়ায় আশে পাশের অনেক মানুষই এখান থেকে কাঁচা বাজারটা সেরে ফেলেন। অনেকেই আবার পেঁয়াজ মরিচ রসুন পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যান। যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য কাঁচাবাজার প্রয়োজন হলেই এখানেই চলে আসেন সবাই। কথা হয় একটি স্কুলের শিক্ষক আনোয়ারুল হকের সাথে। তিনি বলেন এখানে পাল্লা (৫কেজিতে ১ পাল্লা) হিসেবে মালামাল কিনলে কেজিতে ৩-৫ টাকা সাশ্রয় হয়। গৃহিনী রুনু বেগম বলেন সকালে হাঁটতে হাঁটতে এখানে চলে আসি। সস্তায় জিনিস পাই বলেই কিনি। আনোয়ারুল হক এবং রুনু বেগমের মতো অনেকেই এখানে আসেন খুচরা বাজার করতে। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকেও অসংখ্য পাইকার ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষ এখানে প্রতিদিন ভিড় জমান। ভোর রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচামাল নিয়ে ট্রাক এখানে এসে হাজির হয়। সে ট্রাক থেকে মালামাল নিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পাইকাররা নসিমন, ভটভটি, মিনি ট্রাক এনে জমা করেন এখোনে। সব মিলিয়ে এক মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয় যা অনেক সময় দুর্ঘটনা পর্যন্ত ডেকে আনে। অপরদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা এলাকায় রিস্কা, ইজিবাইক দাঁড়ানোর জন্য নির্ধারিত কোন স্থান না থাকায় রাস্তার মাঝামাঝিস্থানে বাহন দাঁড় করে রেখে যাত্রী উঠানামা করা শহরে সবসময় ট্রাফিকজ্যাম এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে সাধারণ পথচারীদের সড়ক পারাপারেও কোন নির্ধারিত স্থান না থাকায় মাঝে সড়ক পার হতে ৫-১০ মিনিট লেগে যাওয়ায় তখন দূর্ভোগের সীমা থাকে না। শহরের যানজট নিরসনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া শীঘ্রই সড়ক প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে। তখন হয়তো এ সমস্যা থাকবেনা।
×