ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আত্রাইয়ের সমসপাড়া-খরসতি রাস্তার ইট উঠে গিয়ে মরণফাঁদে পরিণত

প্রকাশিত: ০০:২৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

আত্রাইয়ের সমসপাড়া-খরসতি রাস্তার ইট উঠে গিয়ে মরণফাঁদে পরিণত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সমসপাড়া-খরসতি রাস্তার সোলিংয়ের ইট উঠে গিয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সমসপাড়াহাট স্লুইচগেট থেকে খরসতি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার সমসপাড়াহাট একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কেজি স্কুল, একটি মাদ্রাসা, একটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও অফিস রয়েছে। এছাড়াও সপ্তাহে দুইদিন (শুক্রবার ও সোমবার) সেখানে বৃহৎ হাট বসে। এ জন্য সমসপাড়ার পূর্বাঞ্চলের সাধারন মানুষকে প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়েই সমসপাড়ায় যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়াও উপজেলার নওদুলী বাজার, পতিসর ও সিংড়ার কালিগঞ্জ এবং আত্রাই উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তাদের এই রাস্তাটিই ব্যবহার করতে হয়। নদী মাতৃক এলাকা হিসেবে এক সময় এ অঞ্চলের লোকজন নৌকা নির্ভর থাকলেও বর্তমানে রাস্তাঘাট হয়ে যাওয়ায় নদী পথে নৌকাও অনেক কমে গেছে। এদিকে ওই এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য আশির দশকে একটি মেটোরাস্তা তৈরী করা হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১২/১৪ বছর পূর্বে সমসপাড়া স্লুইচগেট থেকে তেমুক পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ইট দ্বারা সোলিং করা হয়। বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টি ও বন্যায় ইটের সোলিং ক্ষতবিক্ষত হয়ে রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ওই রাস্তায় এখন কোন প্রকার যানবাহনও চলাচল করতে চায় না। এ জন্য ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে কোন রোগিকে চিকিৎসার জন্য নেয়া বা কৃষিপণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। খালপাড়া গ্রামের সোহেল রানা বলেন, এ রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এ রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন শিশু শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিনিয়ত ছোটখাট অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। একই গ্রামের হাজি জাহাঙ্গীর আলম শুকবর বলেন, দীর্ঘদিন পূর্বে রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়েছিল। এরপর থেকে পর্যাপ্ত সংস্কার না করায় ইটগুলো উঠে গিয়ে রাস্তা দিয়ে এখন ভ্যানও চলাচল করতে পারে না। ইট উঠে গিয়ে রাস্তার বুকে সৃষ্টি হয়েছে নানা রকম খানা-খন্দের। ফলে আমাদের কৃষিপণ্য বাজারজাত করা চরম কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, রাস্তাটির ওপর আমাদের নজর রয়েছে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
×