ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাতুরা না চাইলে রাখার প্রশ্নই ওঠে না

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

হাতুরা না চাইলে রাখার প্রশ্নই ওঠে না

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহেকে নিয়ে নাটক যেন কমছেই না। একের পর এক নাটক চলছে। কোচ দ্রুতই দেশে আসবেন, আসবেন না। তাকে থেকে যাওয়ার জন্য বোঝানো হবে, হবে না। তার স্থলে কাউকে নেয়ার ভাবনা চলছে, চলছে না। এমন নাটকই চলেছে। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালা স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে চিঠি দিয়েছেন। বিসিবি প্রধানের কাছে হাতুরাসিংহেকে নিয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সুমাথিপালা। যদি বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে হাতুরাসিংহেকে ছেড়ে দেয়, মানে হাতুরাসিংহে যে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তা গ্রহণ করে নেয় বিসিবি; তাহলে শ্রীলঙ্কা তাকে প্রস্তাব দেবে। তাকে প্রধান কোচ করবে। এই আলোচনায় বোঝাই যাচ্ছে হাতুরাসিংহে আর বাংলাদেশের কোচ থাকছেন না। শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়া নিশ্চিত। তাইতো বৃহস্পতিবার বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেই দিয়েছেন, ‘কোচ না চাইলে তাকে রাখার প্রশ্নই ওঠে না।’ নতুন কোচ খোঁজার দিকেই এগিয়ে যেতে চায় বিসিবি। এসএলসি প্রধানের চিঠি নিয়ে বিসিবি সিইও জানান, ‘চিঠির বিষয়টি আমরা গতকাল (বুধবার) জেনেছি। আপনারা জানেন হাতুরাসিংহে এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন। আমরা ভাবছি যেহেতু শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি বিসিবি সভাপতিকে চিঠি দিয়েছেন, তাই চিঠিটা আমরা প্রেসিডেন্ট বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা অপেক্ষা করছি বোর্ড কি সিদ্ধান্ত দেয়।’ প্রশ্ন ওঠে নোটিস পিরিয়ডের কোন ব্যাপার আছে? সিইও সুজন জানান, ‘আপনারা একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন যে, মাননীয় বোর্ড সভাপতি বলেছেন যে, কেউ থাকতে না চাইলে তাকে আমরা ধরে রাখতে পারব না। তাছাড়া এই বিষয়টা আরও সেন্সিটিভ। কোচ না চাইলে তাকে রাখার প্রশ্ন ওঠে না। তাই আমরা বিষয়টাকে ওভাবেই দেখছি। তবে আমরা এগ্রিমেন্ট অনুযায়ীই যাব।’ দ. আফ্রিকা সফরের প্রতিবেদন দিতে কোচ আদৌ আসবেন কী না? সুজন বলেন, ‘পেশাদার কোচ হিসেবে যেহেতু তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সেহেতু আশাকরি ট্যুর শেষে যে প্রতিবেদন তিনি দেন সেটি দিয়ে দেবেন এবং সেক্ষেত্রে কোচের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই সেই রিপোর্টটি পেয়ে যাব।’ চিঠির প্রেক্ষিতে কী ধরনের ফিডব্যাক দেয়া যেতে পারে? সুজন বলেছেন, ‘যেহেতু বোর্ড টু বোর্ড কথা হচ্ছে সেহেতু আমরা মনে করি একটা সলুশন হয়ে যাওয়াই ভাল।’ মান-অভিমানের কোন বিষয় নেই বলেও জানান সিইও, ‘না, মান-অভিমানের কোন জায়গা এখানে নেই। যেহেতু উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে তিনি থাকছেন না সেহেতু উনাকে যে কেউই প্রস্তাব করতে পারে। গ্রহণ করার বিষয়টি তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের করণীয় অত্যন্ত সীমিত। আমরা যেটা করব আমরা চুক্তি অনুযায়ী যেভাবে সমাধান করা যায় সেভাবেই করব।’ কোচ খোঁজা নিয়েও দ্রুতই ভাবছে বিসিবি। সিইও তাই জানালেন, ‘যেহেতু মোটামুটি একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে সে আর দায়িত্ব পালন করবে না সেহেতু আমাদের বসে থাকার কোন অবকাশ নেই। আমরা আমাদের কাজ অবশ্যই করব এবং আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে একজনকে দেয়া যায়। এক্ষেত্রে বোর্ড কাজ করছে। দেখুন জাতীয় দলের কোচ একটি সেন্সিটিভ পজিশন। সেক্ষেত্রে আমাদের কেয়ারফুল কনসিডারেশন দিতে হবে। আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন কোচ দিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কারা এভেইলেবল আছেন সেটা দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগ দিব। চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে কী না? সুজন বলেন, ‘প্রফেশনাল হিসেবে বলতে হবে, কারও জন্য কাজ আটকে থাকে না। আমাদের যে পরিকল্পনা আছে সেই অনুযায়ীই কাজ করব। হয়তো তার কিছু নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল যা নিজের মতো করে করতেন। আরেকজন যদি আসেন তারও পরিকল্পনা থাকবে। তাছাড়া বোর্ডেরও একটি পলিসিগত সিদ্ধান্ত থাকবে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।’
×