ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তদন্তের মুখে উবার

প্রকাশিত: ০১:০২, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

তদন্তের মুখে উবার

অনলাইন ডেস্ক ॥ তথ্য চুরি ধামাচাপা দিতে গিয়ে এবার ভালোই ঝামেলায় ফাঁসতে যাচ্ছে উবার। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইনসহ আরও বেশ কিছু দেশের সরকার। গত মঙ্গলবার উবার স্বীকার করে, ২০১৬ সালে তাদের সার্ভার হ্যাক করে ৫ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি গ্রাহক ও চালকের তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা। ১ লাখ ডলারের বিনিময়ে তথ্যগুলো মুছে ফেলা হয়। উবার তখন বিষয়টি তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জানায়নি। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষিত করার ব্যাপারে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেই কড়া আইন রয়েছে। আবার উবার ব্যবহারকারীর সংখ্যা এ দুই দেশেই সবচেয়ে বেশি। পরশু উবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়ার পর এখন বিশ্বের অনেক দেশ নড়েচড়ে বসেছে। উবার কী কী আইনের লঙ্ঘন করল, তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতা বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে শুনানির আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ফেডারেল ট্রেড কমিশনকেও তাঁরা এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন। আর যুক্তরাজ্যে গ্রাহকদের গোপন তথ্য সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হলে ৫ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। গ্রাহকদের চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে আছে নাম, ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর, লাইসেন্স নম্বর। এরই মধ্যে উবার তাদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সুলিভান ও তাঁর ডেপুটি ক্রেগ ক্লার্ককে ছাঁটাই করেছে। সুলিভান এর আগে ফেসবুকের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন। কয়েক মাস ধরেই উবার বেশ সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। যৌন নির্যাতন, তথ্যের গোপনীয়তা, এশিয়ায় তাদের ব্যবসা করার ধরন—এসব নিয়ে সংকট চরমে পৌঁছালে গত জুনে প্রধান নির্বাহী পদে পরিবর্তন আনতে হয়। এসব ঝামেলার কারণে লন্ডন এরই মধ্যে উবারে লাইসেন্স বাতিল করেছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যও উবারের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিল। আগস্টে নতুন নির্বাহী দায়িত্ব নিয়েছেন। উবারের জঞ্জাল পরিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জাপানের সফটব্যাংক গ্রুপ ১ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে পারে বলে এ মাসে ঘোষণা দিয়েছিল উবার। যদিও ব্যাংকটি বলছে, উবারের শেয়ারধারীরা সঠিক দামে শেয়ার না ছাড়লে তারা তা কিনবে না।
×