ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র ও কর্মসংস্থানের আশ্বাস এমারসনের

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

গণতন্ত্র ও কর্মসংস্থানের আশ্বাস এমারসনের

অনলাইন ডেস্ক ॥ মুগাবে শাসনের অবসানের পর নতুন গণতন্ত্রের বিকাশ এবং কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের নতুন নেতা এমারসন ম্যানানগাগওয়া। আগামী শুক্রবারই তিনি দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সরকারী গণমাধ্যম। দেশে ফিরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি ধন্যবাদ দেন সেনাবাহিনীকে এবং সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান। দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপন শেষে বুধবার দেশে ফিরে রাজধানী হারারেতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। মি. ম্যানানগাগওয়া বলেন যে, " আমি আপনাদের সেবক হবার অঙ্গীকার করছি। আমি সকল দেশপ্রেমিক জিম্বাবুইয়ানদের একতাবদ্ধ হবার আহ্বান জানাই। আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো। এখানে কেউই কারো চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নন। আমাদের পরিচয় আমরা জিম্বাবুয়ের নাগরিক। আমরা আমাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাই, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই কাজ, কাজ এবং কাজ।" মি. ম্যানানগাগওয়ার বেকারত্ব অবসানের এই ঘোষণায় জানু-পিএফ পার্টির সদরদপ্তরের সামনে উল্লাসে ফেটে পরে জনতা। ধারনা করা হয় দেশটিতে প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ কর্মহীন। সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট আগামী শুক্রবারই রবার্ট মুগাবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি টেলিভিশন। ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ৭১ বছর বয়সী নতুন এই নেতা ২০১৮ সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকছেন। মিস্টার মুগাবে এমারসন ম্যানানগাগওয়াকে চাকরীচ্যুত করলে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। মুগাবের ৩৭ বছরের শাসনের অবসান হলে দেশে ফেরার আগে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সাথে। তার বক্তৃতায় মি ম্যানানগাগওয়া ধন্যবাদ জানান জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনীকে। একইসাথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার পার্শ্ববর্তীদেশ, আফ্রিকান কমিউনিটি এবং বহি:বিশ্বের সহায়তার প্রয়োজনের কথাও জানান। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
×