ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বহির্বিশ্বের নাট্যোৎসবে ‘চণ্ডালিকা’

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

বহির্বিশ্বের নাট্যোৎসবে ‘চণ্ডালিকা’

বাংলাদেশ ও আমেরিকার সাম্প্রতিক বন্যাদুর্গত মানুষের সাহাযার্থে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস সিটির জেম থিয়েটার হলে গত ৫ নবেম্বর মঞ্চায়িত হয় ‘বর্ন ইকুয়াল’ শিরোনামে দুটি প্রযোজনা। একটি গীতিনাট্য, অন্যটি নৃত্যনাট্য। রাফিয়া রাসুর কোরিওগ্রাফিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গীতিনাট্য ‘চ-ালিকা’। অপরটি ক্রিস্টাল ব্রায়ান’র কোরিওগ্রাফিতে আধুনিক নৃত্যনাট্য ‘দ্য ইয়েলো ওয়ালপেপার : আ ড্যান্স ইন্টু ম্যাড্নেস’। মানবতার বিশেষ বার্তাবাহী ওই দুটি প্রযোজনা বৈকালিক নাট্যোৎসবে উপর্যুক্ত মঞ্চে প্রদর্শিত হয়। প্রবাসী বাঙালী ছেলে-মেয়েরাই এই উৎসবের আগ্রহী নির্দেশক, পরিচালক এবং পাত্র-পাত্রী। তাদের সাড়া জাগানিয়া এই উদ্যোগ স্থানীয় বা প্রবাসী সবার মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া জাগায়। উৎসবের আয়োজক ক্যানসাসের ‘সিটি ইন মোশন ড্যান্স থিয়েটার’। এই আয়োজনের উদ্যোক্তা-প্রস্তাবক সিবঘাত খান। উৎসবে মঞ্চস্থ ‘চ-ালিকা’ প্রযোজনা নিয়ে লিখেছেন- ড. হাবিবা খাতুন ও শমশের সৈয়দ আবহমান বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি আর হাজার বছরের বাঙালীয়ানা ঐতিহ্যের শেকড় যাদের আঁকড়ে ধরে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে আজও দাঁড়িয়ে আছে, হয়তো থাকবেও চিরকালÑ তাদেরই প্রধানতম সিদ্ধ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বিশ্বকবিÑ অথচ তিনি এই বিশ্বেরই একটি অংশে প্রায় এক শতাব্দীকাল ধরে অজানা, অচেনা! সাহিত্যে নোবেল জয় করে তিনি আমাদের মায়ের ভাষা বাংলাকে যে অসীম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছেন তা কোনদিনও ভোলার নয়। বাঙালী জাতির অন্যতম প্রধান গবের্র ধন রবীন্দ্রনাথ বিগত প্রায় এক শ’ বছর জুড়ে একটি বিশেষ অঞ্চলে চর্চাহীন অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি অপরিচিত! আজকের এই অন্তর্জালের যুগে শুধু নিয়মিত চর্চহীনতার কারণে উত্তর আমেরিকার মধ্যভাগে রবীন্দ্র চিন্তাধারা প্রায় অপরিচিত হয়ে পড়ছিল! আলোচ্য নাট্যোৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গীতিনাট্য ‘চ-ালিকা’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে উত্তর আমেরিকার এই অঞ্চলে রবীন্দ্র-দর্শনে যেন নতুন করে প্রাণের সঞ্চার সৃষ্টি হলোÑ যার উদ্যোক্তা একঝাঁক বাঙালী তরুণ-তরুণী। ‘চ-ালিকা’ প্রযোজনায় প্রবাসী বাঙালী ছাড়াও বিভিন্ন দেশের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নাগরিকদের দৃষ্টি কাড়ে রবীন্দ্রনাথ। ফলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তার নাটক এবং এর পাত্র-পাত্রী ও কলাকুশলীরা উৎসবে সব শ্রেণীর দর্শকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। রবীন্দ্র-দর্শন মতে, চ-ালিকার মূল কাহিনীতে ফুটে উঠেছে যে আদর্শবার্তা তা হলোÑ মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই, জন্মসূত্রে সব মানুষ সমান। দৈনন্দিন আচরণে মানুষের মধ্যে বাহ্যিক ভিন্নতা পরিলক্ষিত হলেও কখনও ঘৃণার বীজ বপন করা উচিত নয় বরং আচরণ ও চিন্তায় সবার মধ্যে ভালবাসার বার্তা পৌঁছানো এবং সবার উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকার চেষ্টা করা। রবি ঠাকুরের গীতিনাট্য চ-ালিকা মূলত সমাজচিন্তার এই আদর্শিক কথাটিই ছড়িয়ে দিতে চায় যে, জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে সামাজিক বিধি-বিধানে একাত্ম থাকতে হবে, মানবিক ভাবনায় আলোকিত জীবনবোধ গড়ে তুলতে হবে এবং কোথাও কোন বৈষম্য থাকবে না। ‘চ-ালিকা’ প্রযোজনা প্রধান চরিত্র প্রকৃতি। সে চ-াল বালিকা। গ্রামের এক প্রান্তে দরিদ্র মায়ের সঙ্গে বসবাস তার। ‘চ-ালিকা’ বলে সমাজের চোখে প্রাকৃতিকভাবে তথাকথিত নিচুস্তরের মানুষ সে। তাই তো সে ঘৃণিত, ধিকৃত! অপর প্রধান চরিত্র আনন্দ। সে মহামতি বুদ্ধের অনুগত। আনন্দর কাছ থেকে বার্তা পেয়ে বালিকার ভেতরকার সুপ্ত মানবচিন্তা জেগে ওঠে। আনন্দ বলে, যেই মানুষ আমি, সেই মানব তুমি কন্যা। কাজেই আমরা কেউ মানবতাহীন নই এবং কেউ কারও প্রতি ঘৃণা পোষণ করব না। আনন্দর মুখের এই কথাটিই অচ্ছুত বালিকা চ-ালিকার মধ্যে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেয়। ফলে সহসা সে মানবতার গুণে জেগে ওঠে। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, এক বসন্তের দিনে গ্রামের নানা সাজে সজ্জিত বালক-বালিকারা প্রকৃতির সঙ্গে মিশছে না। সেখানে দইওয়ালা, চুড়িওয়ালা প্রকৃতির সঙ্গে ব্যবসাও করছে না। ফলে এই পরিস্থিতি চ-ালিকাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত করে তোলে। তখন সে তার মাকে প্রশ্ন করে, মা কেন আমি অচ্ছুত সবার কাছে? জন্ম দোষে কি আমি দোষী? প্রকৃতির মা চ-ালিকাকে নিজ কাজে মন দিতে বলে। তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। প্রকৃতি মায়ের কথায় রাগান্বিত হয়ে স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ করতে অস্বীকার করে। এ সময় আনন্দ দূর থেকে দেখে প্রকৃতি কুয়ো থেকে পানি তুলছে। রৌদ্রদাহে ক্লান্ত আনন্দ তার কাছে গিয়ে পানি খেতে চায়। কিন্তু বালিকা তাকে পানি দিতে অস্বীকার করে। আনন্দ তখন বালিকারূপী চ-ালিকাকে সমাজ-দর্শন সম্পর্কে পাঠ দেয়। বুদ্ধিমতি চ-ালিকা দ্রুত বুঝে নেয় যে সব মানুষ জন্মগতভাবে মুক্ত এবং সমান। তাই সবারই আত্মসম্মানবোধ ও ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। এভাবেই এগিয়ে চলে আলোচ্য গীতিনাট্যের ধারা-বর্ণনা। আসলে জন্মসূত্রে সব মানুষ এক-চ-ালিকার এই মৌলিক পাঠ এবং এর শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা আর অভিনয়শৈলী ভিনদেশী ভাষাভাষীদের মাধ্যমে সবার হৃদয়ে গ্রথিত হয়ে যায়। ফলে আর্ট যে আদতেই এক বৈশ্বিক শিল্প-ভাষা তা উক্ত মঞ্চে আবারও প্রমাণ হলো। ‘চ-ালিকা’ গীতিনাট্যটি বাঙালী মনিপুরী নৃত্য এবং আধুনিক নৃত্যের সমন্বয়ে প্রবাসী তরুণ নাট্যকার রাফিয়া সুলতানা রাসুর একক নৃত্যভাবনা ও কোরিওগ্রাফিতে নির্মিত। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী রাফিয়া সুলতানা রাসু বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবেই খ্যাতিমান মনিপুরী নৃত্যশিল্পী। ধ্রুপদি নৃত্যে তিনি তালিম নেন মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে। অতঃপর রাফিয়া রাসু ধীরে ধীরে এই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জন করেন। পরবর্তীকালে মনিপুরী গুরুদের কাছে তার নৃত্য-দীক্ষা ও চর্চা। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী হলেও সেখানে যাওয়ার আগে স্বদেশে ছায়ানটের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখানেই মনিপুরীতে তার নাচের শিক্ষা শুরু। টেক্সাসের হিউস্টনে বিগত ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনিপুরী নৃত্যশিল্পী ছিলেন রাফিয়া রাসু। ২০০৫-এর পর থেকে রাসু মিসৌরির ক্যানসাসে সিটি ইন মোশন স্কুল অব ড্যান্সে মনিপুরী নৃত্যে শিক্ষা দিচ্ছেন। এমনকি বিগত বারো বছর ধরে তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে নৃত্য পরিবেশন করেন। এর মধ্যে ভারত, জাপান ও থাইল্যান্ড ছাড়াও আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য তো রয়েছেই। রাফিয়া সুলতানা রাসু আগামী দিনগুলোতে বিদেশের মাটিতে স্বদেশের সংস্কৃতি বিশেষ করে মনিপুরী নৃত্যকে জাগ্রত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। শুধু তাই নয়, বাঙালী সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রাখবার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরকালীন মানবিক আদর্শ আর নজরুলের চির বিদ্রোহী বীরের চেতনাকে উত্তর আমেরিকার এই দেশে প্রবহমান রাখতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গতানুগতিক রাবীন্দ্রিক নৃত্যনাট্যের চরিত্র থেকে আজকের দিনের চ-ালিকার আদতে কিছুটা ভিন্ন। তাই এই গীতিনাট্যের শিল্পীদের অভিনয় এবং পোশাকেও ছিল বেশ ভিন্নতা। এতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা যুগপৎ বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় কাজ করেছেন এতে। এছাড়া এই গীতিনাট্যের সঙ্গীতে এবং পোশাকের ক্ষেত্রে মৌলিকতা ও বাঙালীয়ানার ছাপ ছিল স্পষ্ট। তাই রাসুর এই প্রচেষ্টাকে উত্তরাধুনিক বাংলা নাটকের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে নিরীক্ষামূলক কাজ বলা যেতে পারে। আলোচ্য নাট্য-উৎসবটি বেশ জমে উঠেছিল সব প্রবাসী বাঙালী অভিনেতা ও নৃত্যশিল্পীদের জন্য বিশেষ বার্তাবাহক এবং অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে। যদিও এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী অনেক শিল্পীর জন্য এটিই ছিল প্রথম প্রচেষ্টা মাত্র। মঞ্চায়নের সার্বিক আবহ, গীতিনাট্যের প্রেক্ষাপট, আনন্দ মূর্ছনা, ঘুঙুরের ঝঙ্কার, রঙ-বেরঙের চাকচিক্যময় পোশাক মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী প্রবাসীদের মধ্যে নতুন বার্তা পৌঁছে দেয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাফিযা রাসুর রচনা ও নির্দেশনায় গীতিনাট্যটি অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করায় এর সকল কলাকুশলী এবং এতে অভিনয়ে অংশগ্রহণকারী শিল্পীগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। কোরিওগ্রাফারের অসাধারণ শৈল্পিক দক্ষতা এবং কারিগরি মুন্সীয়ানা আর পোশাকী চাকচিক্য আলোচ্য চ-ালিকাকে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। ফলে মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে চ-ালিকা পৌঁছে গেছে আরও উচ্চমার্গে। যেমন এতে সংযোজিত মনিপুরী নৃত্যতাল ‘বাকলাই’ ছিল সম্পূর্ণ নতুন বিষয়Ñ যা দর্শকদের যারপর নাই অভিভূত ও মুগ্ধ করেছে। রাইমা খান মূলত নৃত্যশিল্পী কিন্তু আলোচ্য গীতিনাট্যে তিনি অনবদ্য অভিনয় করেছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সী রাইমা শিল্পী হিসেবে তার সমবয়সীদের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে যেমন হৃদয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পেরেছে, তেমনি অভিনয়ের প্রেক্ষাপটে ঘৃণাভরা সমাজের তিক্ততার বিস্বাদ পেয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মুখাবয়বও লুকোতে পেরেছে। স্টেজে তার কান্নার পরিবেশনা দর্শকদের বেশ আপ্লুত করেছে। তার অভিনয়গুণে চ-ালিকার মূল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। পুরো গীতিনাট্যের চরিত্র-চিত্রায়ন যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে এবং এর শিল্পসম্মত রূপ প্রকাশে মাতৃসুলভ কার্যকলাপের অভিনয়, মূল পাত্র-পাত্রীর পোশাক, কোরিওগ্রাফ, সান্ধ্যকালীন গ্রামীণ দৃশ্য, বাতি বা আলো জ্বালানো ঘরবাড়ি, কুয়ো থেকে চ-ালিকার পানি তোলার ঘটনাÑ সবই অপরূপ বাস্তবতার আবহ সৃষ্টি করেছে। ‘আনন্দ’ বৌদ্ধভিক্ষুÑ তার পোশাকের রঙ, পদক্ষেপের ধীরতা, মুখম-লে দুঃখ-ভারাক্রান্ত চিন্তারেখা দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আবেগ সৃষ্টি করেছে। রাফিয়া রাসুর এই কাজে সহায়তাকারীদের অভিনয় আর পোশাকী অনবদ্যতাও দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে। বিশেষ করে দইওয়ালা, চুড়ি বিক্রেতা, রাজবার্তাবাহক প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে। এছাড়া অভিনয় নৈপুণ্যে নিজেদের মেলে ধরেছে প্রত্যেকেÑ এমনকি তরুণী,বয়স্ক নারী, ছোট ছোট বাঁশীওয়ালা এবং শিশু ফুল কুড়ানি শিল্পীরাও। তারা প্রত্যেকে তাদের অভিনয়ের চমৎকারিত্বে সারাক্ষণ দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে। চ-ালিকা দেখার সময় এর সকল শিল্পী-অভিনেতার কাছ থেকে অদ্ভুত রকমের শিল্পসম্মত কাজ উঠে এসেছে মূলত কোরিওগ্রাফারের মুন্সীয়ানা আর সুস্থ চিন্তার ফলশ্রুতিতে। কোরিওগ্রাফার নিজেই পরিচালক হওয়ায় বাংলা-ভারতের ধ্রুপদী নৃত্যের কলা এবং আধুনিক আর্ট যুগপৎ মিলেমিশে একাকার হতে পেরেছে। শিল্পকলা মূলত একজন মানুষের ভেতরের মানুষকে জাগিয়ে তোলে, তাকে আনন্দে আন্দোলিত উদ্বেলিত করে, আর তার হৃদয়ের গহীনে চিরতরে স্থান করে নেয়। সর্বোপরি পারিবারিক পরিবেশে মানুষকে সত্যিকারের মানবিক মানুষে পরিণত করে তোলে। তাই, এখানে রবীন্দ্রনাথের ‘চ-ালিকা’ এই সময়ের রাফিয়া রাসুতে এসে দর্শকদের ভিন্ন ধারার শৈল্পিক ভাবনার স্বাদ দিতে সক্ষম হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হয়। রাফিয়া সুলতানা রাসুর পরিচালনা ও কোরিওগ্রাফিতে ‘চ-ালিকা’র প্রধান নৃত্যশিল্পী ছিলেনÑ রাইমা খান (প্রকৃতি)। গ্রাম্য ফেরিওয়ালা-হোসেন ফারুক, আলেকজান্ডার ওয়েবার কাসীব। মায়াÑ রাফিয়া রাসু। সাধুÑ বাওজঙ আদইয়ান হোসেন, সাফিক ইসলাম, আলেকজান্ডার ওয়েবার কাসীব। নৃত্যশিল্পীরা হলেনÑ ক্রিস্টিনা আলী, কেসি কারসি, আফ্রিনা হক, লাইডিয়া লপ, এন সফকেসি, সেলিনা স্পেল, জুলি স্টিনবেক, এ্যামা ট্যাটসি, রেবেকা উইসচেস্কি ও সারা উইলচেস্কি প্রমুখ। গ্রাম্য বালিকা ও নৃত্যশিল্পীবৃন্দ মুনতাহা বেগ, ইজা ভুঁইয়া, নাফিস ভুঁইয়া, নিহাল ভুঁইয়া, ওয়াজিন হক, সাফওয়াত হোসাইন, আরিসা কবীর, সুমেরাহ্ কবীর, অরিয়ান খান, ফাইজান মোস্তফা, ফারিন রহমান, ফারদিন রহমান, ফারহান রহমান, ফুরসাত রহমান, ফযান সায়েম, রাফান শাহ্ ও ইনায়া জামান।
×