ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ হাবিব উল্লাহ

হাসি আর আনন্দ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

হাসি আর আনন্দ

উৎসব মানেই আনন্দ, উৎসব মানেই সুখ আর হাসি। তাই নবান্নের উৎসব আনন্দ ও হাসির। আবহমানকাল থেকে বাংলার ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই নবান্ন উৎসব। ষড় ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত আর বসন্তে সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামলা এই দেশ নতুন সাজে সজ্জিত হয়। কার্তি, অঘ্রাণ এই দুই মাস নিয়ে হেমন্তকাল। হেমন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মাঠে সোনালী ধানের অপরূপ রূপ দেখে সকলেই আনন্দিত হন। অঘ্রাণের পহেলা তারিখে মহা ধুম-ধাম আর আনন্দের মাঝে দেশের কিষান-বিষানীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই নবান্ন উৎসব পালন করে। আঘ্রাণের পহেলা তারিখে মহা ধুম-ধাম আর আনন্দের মাঝে দেশের কিষান-বিষানীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই নবান্ন উৎসব পালন করে। আগে শুধু গ্রামেই এই নবান্ন উৎসব পালন করা হতো। এখন কিন্তু দিন বদলিয়েছে, এখন শহর, বন্দর আর খোদ রাজধানী শহরে মহা ধুমধামের সঙ্গে নবান্ন উৎসব দিবস পালিত হয়। এবারও তাই হয়েছে। রাজধানী ঢাকা মহানগরীর চারুকলার বকুল তলায় মহা ধুমধামের সঙ্গে এবারের নবান্ন উৎসব পালিত হয়েছে। উৎসবে নতুন ধানের পিঠা-পুলি পায়েস আর বাহারী রকমের মিষ্টি মিঠাইয়ের আয়োজন করা হয়। মহানগরীর শত শত মানুষ এই নবান্ন উৎসবে হাজির হয় আর আস্বাদন করে বাহারী রকমের পিঠার স্বাদ। শুধু পিঠা আর মিষ্টিই নয়-আরও ব্যবস্থা করা হয় আনন্দ অনুষ্ঠানের। নৃত্য-গীত আর সঙ্গীতেরও ব্যবস্থা করা হয়। সকলে মিলে পিঠা-পায়েস খেয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করে নবান্ন উৎসব পালন করে। নবান্ন উৎসব অতীত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। তাই তো সকল ধর্ম, বর্ণ আর শ্রেণীর মানুষ এক হয়ে মহা –ধুমধামের সঙ্গে নবান্ন উৎসব পালন করে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×