ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারীতে তিন ডাক্তারের হদিস নেই

প্রকাশিত: ২১:১৭, ২২ নভেম্বর ২০১৭

নীলফামারীতে তিন ডাক্তারের হদিস নেই

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ হদিস নেই তিন চিকিৎসকের। এরা হলো নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইমরান হাসান ও একই উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শওকত আলী শাফায়াত। এই তিন চিকিৎসক কর্মস্থল থেকে বিনা ছুটিতে লাপাত্তা রয়েছে। লাপাত্তার পর হতে তারা এ পর্যন্ত সরকারী কোষাগাড় হতে বেতন ভাতা উত্তোলন করেননি। কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি ধরতে পেরে তাদের বাড়ির ঠিকানায় তিন দফায় পত্র প্রেরণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর । কিন্তু কোন উত্তর মেলেনি। আজ বুধবার এ ব্যাপারে কথা বলা হলে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্ম্মন জানান কর্মস্থলে অনুপস্থিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রনায়ের পক্ষে সরেজমিন তদন্ত করেছে। এই তিন চিকিৎসকের ২০১৭ সালের চলমান নবেম্বর মাস পর্যন্ত এখনও কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাঃ মামুনুর রশীদ চৌধুরী (কোড নম্বর ১২৬০১৬) ২০১২ সালের ২৪ জুন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নাউতারা ইউনিয়নের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই বছরের ৪ আগষ্ট হতে অনুপস্থিত রয়েছে। সেখানে তিনি মোট চল্লিশ দিন কর্মরত ছিলেন। তার যোগদানের কাগজপত্র ঘেটে গেছে তার বাড়ি চট্রগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। অপরজন ডাঃ ইমরান হাসান (কোডনম্বর ১২৮৮৪৩) ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন ২০১৪ সালের ৭ আগষ্ট। এরপর ২০১৫ সালের ১ আগষ্ট হতে বিনা ছুটিতে লাপাত্তা হন। এখানে তিনি প্রায় এক বছর কর্মরত ছিল। ডাঃ ইমরান হাসান নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের শহীদ আতিয়ার কলোনী মহল্লার ইকবাল হাসানের ছেলে। এদিকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শওকত আলী শাফায়াত ২০১০ সালের ১ জুলাই যোগদান এবং যোগদানের পরের দিন হতেই অনুপস্থিত রয়েছেন। তার নামের ফাইলে এর -বেশী কিছু লিখা নেই। এমন কি তার চাকুরীর কোড নম্বর সহ বাড়ির ঠিকানাও পাওয়া যায়নি।
×