ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন ডেভিড ওয়ার্নার

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২২ নভেম্বর ২০১৭

ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন ডেভিড ওয়ার্নার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোনাম দেখে মনে হবে এ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া ভাল করবে, এমন কিছুই বলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সময়ের অন্যতম ভয়ঙ্কর উইলোবাজ সেটা বলতেই পারেন। ঘরের মাটিতে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের বড় ভরসা তো তিনিই। ওয়ার্নার আসলে অনুশীলনে হঠাৎ করেই চোট পেয়েছেন, সেটিও ব্রিসবেন টেস্ট শুরুর মাত্র দু’দিন আগে। টনটনে ব্যথায় কুঁকড়ে উঠেছেন, যেতে হয়েছে চিকিৎসকের কাছে। তবে ভক্তদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘চিন্তা করবেন না। আমার ঘাড় অনেক শক্ত। আশা করছি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠব।’ সেটা হলেই ভাল। না হলে অস্ট্রেলিয়ার আনকোরা ব্যাটিংয়ে পথ দেখাবেন কে? একমাত্র ভারত সফর বাদ দিলে সাম্প্রতিক সময়ে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী নিউ সাউথ ওয়েলস তারকা। মঙ্গলবার সকালে অনুশীলনে নামে অস্ট্রেলিয়া দল। নেটে ব্যাটিং শেষ করে ফিল্ডিং অনুশীলনে যান অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। ফিল্ডিং অনুশীলনের সময় বেশ উঁচুতে ওঠা একটি বল ধরতে গিয়ে ঘাড়ে চোট পান। এরপর আর অনুশীলন করেননি। ওয়ার্নার মাঠ ছাড়ার পরপরই অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম তার ইনজুরির শঙ্কা নিয়ে খবর প্রকাশ করে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের উৎকণ্ঠা। তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় পাওয়া সর্বশেষ সংবাদে যতটুকু জানা গেছে, ওয়ার্নারের চোট গুরুতর নয়। গ্যাবায় (ব্রিসবেন) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আলোচিত পাঁচ ম্যাচ এ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টেই মাঠে নামছেন তিনি। বর্তমানে তার চোটের শুশ্রƒষা চলছে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ফিজিও ডেভিড বেকলি। ওয়ার্নার বলেন, ‘আসলে আমার ঘাড় বেশ শক্ত। আমি বেশ উঁচুতে ওঠা একটি বল নিতে দৌড়ে গিয়েছিলাম। এমন সময় আমার ঘাড়ে কেমন যেন টনটনে ব্যথা অনুভব করলাম। সমস্যা হচ্ছিল। তাই ফিজিও’র কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। আশা করছি পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ এমন ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রথম টেস্টে খেলা নিয়ে তার মনে শঙ্কা জেগেছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্নার আরও বলেন, ‘না। আমি মনে করি না ঘাড়ের ব্যথা আমাকে খেলা থেকে বিরত রাখতে পারবে। সত্যি বলতে কি এর আগে কখনও ঘাড়ে এমন অনুভব করিনি। আরও কিছু চিকিৎসা নিব। আর রাতে গরম কাপড়ের ভাপ নিব।’ গতবার (২০১৫) ইংল্যান্ডে গিয়ে ৩-২এ হেরেছিল মাইকেল ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়া। ব্যর্থতার ধাক্কাটা ভালমতোই লেগেছিল দেশটির ক্রিকেটে। অধিনায়কসহ পাঁচজন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর নিয়েছিলেন। এরপর স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অসিরা। সর্বশেষ ২০১৩-২০১৪ নিজেদের মাটিতে ইংলিশদের ৫-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বেশ ক’দিন আগেই এ্যাশেজকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে উত্তাপ ছড়িয়েছেন ওয়ার্নার। সহ-অধিনায়ক বলেছেন, ‘মাঠে নামার পর এ্যাশেজ কিন্তু যুদ্ধ। আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই যুদ্ধে অংশ নেয়ার চেষ্টা করবেন। আমি বিপক্ষের খেলোয়াড়দের চোখের দিকে তাকিয়ে ওদের ঘৃণা করার কথাই ভাবি! জয় ছাড়া আর কোন ভাবনা আমার মধ্যে থাকে না। ভেতরে এই স্ফুলিঙ্গ না থাকলে আপনি ওদের চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না।’ ২০১১ সালে সাদা পোশাকে অভিষেক হওয়া ওয়ার্নারের ৬৬ টেস্টে মোট রান ৫,৭০৫। গড় ৪৭.৯৪। সেঞ্চুরি ২০ ও হাফ সেঞ্চুরি ২৪টি।
×