ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২১ নভেম্বর ২০১৭

শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ নারী ইউপি সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ১৪ অভিযোগ তুলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন সকল সদস্য। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের বিরুদ্ধে ওই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কিশোরীদের বয়স বাড়িয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে বাল্য বিবাহে সহায়তা, জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট প্রদানে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অর্থ আদায়, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এলজিএসপি প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি। পরে ইউপি কার্যালয়ে ১২ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে এ সংক্রান্ত একটি রেজ্যুলেশন পাশ করা হয়। বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবসহ তার ওইসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে রেজ্যুলেশনের কপি তুলে দেন সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন। এমনকি তিনি কোনো ইউপি সদস্যকে কোনো প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বও দেন না। ওইসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় পরিষদের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যাসহ এলাকার অনেকে তার কাছে অপমানিত হয়েছেন। ওই বিষয়ে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চেয়ারম্যান তার গলাদকরণ অনিয়ম-দুর্নীতির পরও চলতি অর্থ বছরে এলজিএসপিসহ সকল প্রকল্প তার নিজস্ব ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। তার ওইসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেই পরিষদের সদস্যগণ ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে ইউপি সদস্যগণ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে অনাস্থার কপি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×