নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর ॥ মির্জাপুরে ইসরাত জাহান সাদিয়া (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাদিয়া মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী হিসেবে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য ফরম পূরণ করেছে। সে উপজেলার গোড়াইল গ্রামের মোঃ শহিদ সিদ্দিকীর মেয়ে।
এদিকে মেয়ে অপহরণের পর সাদিয়াকে উদ্ধারের ব্যপারে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে পিতা মোঃ শহিদ সিদ্দিকী আজ মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শহিদ সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার মেয়ে ইসরাত জাহান সাদিয়া স্কুলে যাওয়া আসার পথে মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে কাওছার আহমেদ জিএম (২৫) মাঝে মধ্যেই উত্যাক্ত করত এবং নানা রকম কুপ্রস্তাব দিত। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাদিয়াকে সে তুলে নেয়ার হুমকিও দিত। কাওছার মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী রোডে খান ভিলা নামে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পাশের চাচার বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাওছার ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাদিয়াকে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় বলে সাদিয়ার পিতা শহিদ সিদ্দিকী জানান।
এই ঘটনায় শহিদ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় কাওছারকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে মামলা তুলে নিতে কাওছার ও তার সহযোগীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে নানাভাবে হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন ছাড়াও তার ছোট মেয়েকেও তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন পিতা শহিদ সিদ্দিকী।
অপহরণের দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মেয়েকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের ধরার ব্যাপারে পুলিশের ভুমিকা রহস্যজনক বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, এই মামলার ব্যাপারে পুলিশের কোন অসহযোগিতা বা গাফলতি নেই। ঘটনার দিন মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়। সোমবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।