ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাতুরাসিংহের নয়, তার রিপোর্টের অপেক্ষায় বিসিবি

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২১ নভেম্বর ২০১৭

হাতুরাসিংহের নয়, তার রিপোর্টের অপেক্ষায় বিসিবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহের পদত্যাগ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। জানানো হয়েছিল হাতুরাসিংহের আসার অপেক্ষায় আছে বিসিবি। এর পরই নতুন কোচ নিয়োগের পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন আসলে হাতুরাসিংহের জন্য অপেক্ষা নয়, বরং তার রিপোর্টের জন্যই অপেক্ষা। তার কাছ থেকে পদত্যাগের পেছনে কারণটি জেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের আগে স্থায়ী কোচ নিয়োগ সম্ভব না হলে দেশীয় কোন কোচকেই দায়িত্ব দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদ সুজনেরই সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। কোচ হিসেবে দারুণ সফল হাতুরাসিংহের সবচেয়ে খারাপ সফরটি ছিল এবার দক্ষিণ আফ্রিকায়। দল তিন ফরমেটের সিরিজেই হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। এমনটা নিউজিল্যান্ড সফরেও হয়েছিল, কিন্তু এবার কিছু লজ্জাজনক রেকর্ডও সঙ্গী হয়েছে। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ যে খুব ভাল কিছু করবে সেটা আমরা আশা করিনি। আমাদের ধারণা ছিল ওয়ানডে ও টি২০-তে আমরা আরও একটু ভাল খেলতে পারব। টেস্টে খুব একটা ছিল না প্রত্যাশা। এবার কিন্তু তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়নি। প্রথম টেস্টের পর একদিনই তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওটাই পুরো সফরের একমাত্র কথা। কথা বলে মনে হয়েছে এমন কোন সমস্যা নেই। সব স্বাভাবিক। দ্বিতীয় টেস্টের পর যেহেতু সে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে, মনে হয় ওই সময় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কি কারণে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে, তার কাছ থেকে না শুনে মন্তব্য করা আসলে কঠিন।’ হাতুরাসিংহের এই পদত্যাগ নিয়ে এখন ক্রিকেটাঙ্গন আছে ধোঁয়াশায়। বিসিবিও সেই অবস্থানে তা গত কয়েকদিনে বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সোমবার বিসিবি সভাপতির বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু পদত্যাগ পূর্ব পরিকল্পিত নয় বলেই দাবি করেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘প্রথম টেস্টের পর হাতুরাসিংহে যে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছিল, পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য কি করতে হবে সেইসব নিয়ে পরিকল্পনা করছিল। কাজেই আমার মনে হয় না, এটা পূর্বপরিকল্পিত কোন কিছু। তবে দ্বিতীয় টেস্ট যখন শেষ হলো, তারপরই সে পদত্যাগপত্রটা লিখেছে। তাতে বোঝা যায় ওই সময়টার মধ্যে কিছু একটা হয়েছে, সিদ্ধান্তটা ওই সময়ের মধ্যেই নিয়েছে।’ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার কিছুটা বিরক্তই হয়েছিলেন হাতুরাসিংহের ওপর। পদত্যাগটা সে কারণেও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘এটা আমি রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না। আমি আগেও বলেছি কেউ যদি থাকতে না চায়, তাকে আমরা জোর করে রাখতে চাই না। আমরা সেদিকে যাইনি। তবে তার কাছ থেকে কিছু জিনিস জানা দরকার। একজন পেশাদার কোচ হিসেবে সে সব সময় যা করে, পুরো সিরিজের রিপোর্ট এবং পদত্যাগের কারণ জানা দরকার। হাতুরাসিংহের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি না। অপেক্ষা করছি তার রিপোর্টের জন্য।
×