ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

সাংবাদিকতা ও সাহিত্য আন্দোলনের পথিকৃৎ মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনকে স্মরণ

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২১ নভেম্বর ২০১৭

সাংবাদিকতা ও সাহিত্য আন্দোলনের পথিকৃৎ মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনকে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এই ভূ-খন্ডের সাংবাদিকতা ও সাহিত্য আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন। তার সম্পাদিত সওগাত পত্রিকা হয়ে আছে কালের সাক্ষী। এই গুণীজনকে স্মরণ করা হলো সোমবার। জাতীয় জাদুঘর সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের ১২৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক রাহাত খান। অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শামসুজজাহান নূর ও ড. গুলশান আরা। রাহাত খান বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন যে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন তা সাংবাদিকতা পেশায় যারা জড়িত আছেন তাদের জন্য বিষয়টি অনুসরণীয় হতে পারে। তিনি অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের, বিশেষ করে নারী সমাজের অগ্রগতির জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করতেন তার লেখা-লেখির মাধ্যমে। তার প্রেরণাতেই জাহানারা বেগম ‘বেগম’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। তার স্বপ্ন এখনও অপূর্ণ রয়ে গেছে, কারণ বাংলাদেশের গ্রামে এখনও মেয়েরা অনেক সুবিধাবঞ্চিত। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে এ ব্যাপারে অন্যথায় সত্যিকারভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মাহফুজা খানম বলেন, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন শতবর্ষ পরও মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে তার কাজের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন এ বাংলার রাজা রামমোহন রায়। তিনি ‘সওগাত’ পত্রিকা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এর ফলে আগামী প্রজন্ম ‘সওগাত’ সম্পর্কে জানতে পারবে। শামসুজজাহান নূর বলেন, সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছে জীবনের হুমকি পাশাপাশি রয়েছে রোমাঞ্চ। যার পুরোটাই উপভোগ করতেন তিনি। এজন্য তিনি এদেশের সাংবাদিকতায় পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত। তিনি প্রতিভা চিনতেন ও তার কদর করতে জানতেন। তারই পৃষ্ঠপোষকতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি সুফিয়া কামাল তাদের শিল্পচর্চা করেন। ড. গুলশান আরা বলেন, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ। বেগম রোকেয়ার মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে তিনি মেয়েদের, বিশেষ করে মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করে গেছেন। রঙ্গপীঠ নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উদ্্যাপন ॥ সময়ে স্রোতধারায় প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরে পদার্পণ করল নাট্যদল রঙ্গপীঠ। সেই সাফল্যের উদ্যাপন করল দলের নাট্যকর্মীরা। পারস্পরিক সৌহার্দ্য বিনিময়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ১৯৯১ সাল থেকে দলের সঙ্গে দশ নাট্যকর্মীকে প্রদান করা হয় সম্মাননা। উপস্থাপিত হলো দলটির নানা সময়ে মঞ্চে নিয়ে আসা নাটকের সচিত্র প্রতিবেদন। বিশিষ্টজনদের আলোচনায় উঠে এলো রঙ্গপীঠের বর্ণিল পথচলা। সব শেষে ছিল দলটির নাটকের প্রদর্শনী। সোমবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপত্বি গোলাম কুদ্দুছ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ঝুনা চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান, পথনাটক পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ও দফতর সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন রঙ্গপীঠ নাট্যদলের সভাপতি গোলাম জিলানী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রঙ্গপীঠের তিন শিল্পী নৃত্য পরিবেশন। সব শেষে মঞ্চস্থ হয় রঙ্গপীঠের প্রথম প্রযোজনা জামাই বাবু। অনিন্দ সুন্দর চট্টোপাধ্যায় রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম জিলানী। নাগরিক নাট্যাঙ্গন ইনস্টিটিউট অব ড্রামার যুগপূর্তি ॥ প্রতিষ্ঠার এক যুগ পূর্ণ করল নাগরিক নাট্যাঙ্গন ইনস্টিটিউট অব ড্রামা (এনএনআইডি)। এ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে এনএনআইডির ২২তম ব্যচের সমাপনী এবং ২৩তম ব্যাচের অভিষেক পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক শফি আহমেদ ও অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ড. ইনামুল হক। আনন্দঘন এ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয় ড. ইনামুল হকের চারটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটকের সমন্বিত প্রযোজনা ’৭১ ও একজন নাট্যকার। প্রযোজনাটিতে অভিনয়ন করে ইনস্টিটিউটের ২২তম ব্যাচের নাট্য শিক্ষার্থীরা। ‘পোর্ট্রেইটস অব লিমা’ ॥ পেরুর বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী ইউজিন কুরেট। এই আলোকচিত্রীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার একটি গ্যালারিতে। ‘পোর্ট্রেইটস অব লিমা’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীর ছবিগুলোয় উঠে এসেছে পেরুর জনগোষ্ঠীর জীবন। ফ্রেমবন্দী হয়েছে পেরুর সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বৈচিত্র্য। আলো-ছায়ার খেলায় উদ্ভাসিত হয়েছে দেশটির শিল্প ও সংস্কৃতির বহুমুখিতা। একনজরে প্রদর্শনীটি দর্শককে নিয়ে যায় যাপিত জীবন ও সংস্কৃতির দুয়ারে। বাংলাদেশ ও পেরুর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রত্যয়ে ১৭ নবেম্বর থেকে শুরু হয় এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেরুর কন্্সল সারাহ আলী ও প্রখ্যাত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তফা। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর শেষ দিন আজ মঙ্গলবার। সকাল ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ইতিবৃত্ত নাটকের দ্বিতীয় মঞ্চায়ন আজ ॥ তারুণ্যনির্ভর নাট্যসংগঠন নাট্যদল। দলটি মঞ্চে এনেছে নতুন নাটক ইতিবৃত্ত। রবিবার প্রযোজনটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেইলী রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাটকটি দ্বিতীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
×