ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীসহ দু’জনকে হত্যা

প্রকাশিত: ০০:২৪, ২০ নভেম্বর ২০১৭

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীসহ দু’জনকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দু’টি স্থানে আবু সাঈদ খান (৬০) নামে এক ব্যবসায়ী ও আবু ইউসুফ নাঈম (২২) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে পুলিশ আড়াইহাজারের গীরদা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আবু সাঈদ খানের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় থেকে মাদ্রাসার ছাত্র আবু ইউসুফ নাঈমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ রাতেই লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গেছে, সোমবার ভোরে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের গীরদা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আবু সাঈদ খানের মুদি দোকানটি খোলা দেখতে পেয়ে তার চাচাতো ভাই বাড়িতে খবর দেয়। পরে তার আত্মীয় স্বজনরা আবু সাঈদ খানকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। সকালে তার লাশ গীরদা দক্ষিণপাড়ার ক্ষেতের ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঐ ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের ছেলে নুরে আলম জানান, তার পিতা গীরদা গ্রামের রাস্তার পাশে মুদি ব্যবসা করত এবং সে রাতে দোকানেই ঘুমাত। নিহত আবু সাঈদের স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানায়, তার জানামতে এলাকায় তার স্বামীর কোন শত্রু ছিল না। নিহতের ১ ছেলে ও ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, নিহতের নাকে রক্ত জমাট বাধা ছিল। আর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। বিকেলে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান। অপরদিকে রবিবার রাত সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় মাদ্রাসার ছাত্র আবু ইউসুফ নাঈমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ রাতেই লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরফুদ্দীন জানান, ফতুল্লার নন্দলালপুর বটতলা থেকে কাকালী ডাইংয়ের পেছনের রাস্তায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। লাশের বুকের ডান পাশের পেছনের অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে রাতেই উক্ত যুবকের লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা আবু ইউসুফ নাঈমের লাশটি থানায় এসে সনাক্ত করেন। আবু ইউসুফ নাঈম ফতুল্লার পিলকুনি জোড়া মসজিদ এলাকার মুনসুর আহম্মেদের ছেলে। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। নিহতের মা হালিমা খাতুন জানান, রবিবার বিকেলে আবু নাঈম তার কাছে ১০০ টাকা চায়। কিন্তু টাকা না পেয়ে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর সে বাসায় ফেরেনি। ফেসবুকে নাঈমের ছবি দেখে থানায় এসে মরদেহটি শনাক্ত করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান, ধারণা করা হচ্ছে নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ডটি ঘটে থাকতে পারে। তবে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত ও দাফনের পর স্বজনরা মামলা দিলে বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে তদন্ত করে হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন করা হবে।
×