ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পানামা ও প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারীর তথ্য প্রকাশের দাবী জাতীয় সংসদে

প্রকাশিত: ০২:২৭, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

পানামা ও প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারীর তথ্য প্রকাশের দাবী জাতীয় সংসদে

সংসদ রিপোর্টার ॥ অফশোর কোম্পানিতে টাকা বিনিয়োগকারিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে সংসদে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। রবিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, পানামা পেপরস ও প্যারাডাইস পেপার কেলেংকারিতে যাদের নাম এসেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জাতীয় স্বার্থে প্রকাশ করা উচিত। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসময় সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। রুস্তম আলী ফরাজী তাঁর বক্তব্যে বলেন, এর আগে পানামা পেপারস কেলেংকারিতে কয়েকজন বাংলাদেশির নাম এসেছিলো। বিষয়টি নিয়ে সংসদে কথাও বলেছিলাম। তখন বলা হয়েছিলো বিষয়টির ওপর একটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়া হবে। ওই রিপোর্ট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আমরা কিছূই জানতে পারিনি। তিনি বলেন, পানামা পেপারসে নাম ছিলো ১৪ জনের। এবার প্যারাডাইস পেপারস কেলেংকারি প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ২১ জনের নাম এসেছে। তিনি বলেন, ওই তালিকায় বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। কিছূ প্রতিষ্ঠানের নামও আমরা জানতে পেরেছি। স্বতন্ত্র এই এমপি বলেন, কারা সেখানে টাকা পাঠিয়েছে, কত টাকা বিনিয়োগ করেছে, কেন বিনিয়োগ করেছে এসব বিস্তারিত জানতে চাই। ওইসব টাকা কী কালো নাকি সাদা ছিলো, কিংবা কেন বিদেশে পাচার করা হলো তাও জানতে চাই। ওইসব পেপারস কেলেংকারির সঙ্গে কানাডা, আমেরিকাসহ আর বড় বড় দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশও রয়েছে। আমাদের দেশের কয়েকজন এ ধরণের অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তাই জাতীয় স্বার্থে ও মানুষের স্বার্থে অর্থমন্ত্রীর কাছে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও নথি জানতে চাই। এদিকে জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবুল এবং জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল পৃথক দুটি পয়েন্ট অব অর্ডারে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বন্দরের নিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য তুলে ধরে মইনউদ্দিন খান বাদল বলেন, সেখানে কে বা কাদের নির্দেশে নিয়োগ বাণিজ্য করা হচ্ছে। বন্দরের সাধারণ লস্কর নিয়োগে ৯২ জনকে সিলেকশন করা হয়েছে। এর মধ্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা রয়েছে মাত্র দু’জন। বাকিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই একটি নির্দিষ্ট জেলার। এ ঘটনায় চট্টগ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন, সেখানে এখনও আন্দোলন চলছে। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করা না গেলে সামান্য ভূলে বড় ধরনের বিস্ফোরন ঘটতে পারে। মইনউদ্দিন খান বাদলের বক্তব্য সমর্থন করে চট্টগ্রামের আরেক সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর আত্মার সম্পর্ক। সেখানে নিয়োগ দিতে গিয়ে চট্টগ্রামের মাত্র দু’জনকে নেয়া হবে, বাকিগুলো অন্য জেলার এটা হতে পারে না। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে মন্ত্রীদের আরও মনোযোগি হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বন্দরের নিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি কোটা নির্ধারণের দাবি জানান।
×