ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাজীগঞ্জের ৩ প্রতিবন্ধীর মানবেতন জীবন

প্রকাশিত: ০২:১৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

হাজীগঞ্জের ৩ প্রতিবন্ধীর মানবেতন জীবন

সুজন দাস, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা ॥ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ গ্রামে দুই প্রতিবন্ধী আর এক পঙ্গু তাদের জীবন চলছে অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে। কাজলী আক্তার (২২) ওই গ্রামের কলিমুদ্দিন তালুকদার বাড়ির ছোবাহানের প্রতিবন্ধী মেয়ে। চার ভাই এক বোন এর মধ্যে সে ছোট। দুই ভাই রিক্সা চালিয়ে কোন মতে সংসার চালাচ্ছে। পরিবারে ১৪ জন সদস্য নিয়ে কোন মতে দিন কাটাচ্ছে তারা। অসহায় কাজলী তাদের নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে বার বার আবেদন করেও কোন সাহায্যের পথ খুঁজে পায়নি বরং আবেদন করতে গিয়ে ছবি তুলতে ও যাতায়াত বাবদ যে খরচ করেছে তাও অন্যের কাছ থেকে হাত পেতে নিতে হয়েছে। একই গ্রামের আরেক প্রতিবন্ধী নাজমুল হাসান মজুমদার, সে মজুমদার বাড়ির খোরশেদ আলমের ১৬ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে। বাবা কৃষি কাজ করে কোন মতে সংসার চালাচ্ছে। ভাইদের মধ্যে সে মেঝো। বড় ভাই আল আমিন বিএসএস ১ম বর্ষের ছাত্র। আরেক ভাই সিফাত সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। দোচালা জীর্নশীর্ন ঘরে তাদের বসবাস। এইসব প্রতিবন্ধীই অত্যান্ত অসহায় পরিবারের মধ্যে বসবাস করে। একটি পরিবার স্বপ্ন দেখছে বাকী সদস্যদের মানুষের মত মানুষ করবে। কিন্তু অর্থের অভাবে তা হয়ে উঠছে না। তার মধ্যে পাচ্ছে না প্রতিবন্ধী ভাতা। এ অবস্থায় এই দুটি পরিবারের দুজন প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা অতি জরুরী হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই। এ দিকে একই গ্রামের গত ১০ বছর আগে একটি সড়ক দূর্ঘটনায় পা হাড়িয়ে এখন পঙ্গুত্বের জীবন যাপন করছে হাফেজ শহিদুল্লাহ। সেও পার্শ্ববতী একটি পরিবারের কাছ থেকে ঘর নিয়ে কোন মতে মাথা গোজার ঠাই নিয়ে দিনাতিপাত করছে। ভাতা পেলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, তাদের ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য আসেনি। তবে পঙ্গু হাফেজ শহিদুল্লাহকে নতুন করে ভাতা দেওয়া হয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়–য়া এ প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে তথ্য পেলে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
×